জলঢাকায় জাল কাগজে ১০ শিক্ষকের এমপিও ভুক্তির চেস্টার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি॥
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও নিয়োগ পরীক্ষা দেখিয়ে  অবৈধভাবে ১০ শিক্ষক নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে।
সেই সাথে ওই সব ভুয়া নিয়োগকৃত শিক্ষকদের সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিতে তাদের এমপিও ভুক্তির অপচেষ্টাও চালানো হচ্ছে। এলাকাবাসী ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছে।
 এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের  এক অভিযোগ জানা যায় ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কমিটির একটি অংশ সকল প্রকার আইন-কানুন উপেক্ষা  করে মোট ১০ জন  শিক্ষক  নিয়োগ দিয়েছিল।  অভিযোগে জানানো হয় বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০২ সালের ২০জুন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহাতাব উদ্দিনকে অপসারণ করা হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক আজিজুল ইসলামকে স্থলাভিষিক্ত করে। এরপর ২০০২ সালের ২২জুন রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক দাবানল পত্রিকায়  নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ দেখানো হয়। যা ঐ তারিখের দৈনিক দাবানলের মূল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি  ছিলো না। অভিযোগ মতে ওই তারিখের পত্রিকা দেখিয়ে একটি মাত্র পত্রিকা হুবাহু ছাপিয়ে সেই স্থানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ দেখায়। এলাকাবাসী জানায় ওই স্কুলে ইতোমধ্যে  এসএসসি ভোকেশনাল শাখা খুলে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর পদে বিশ্বজিৎ বিভাষ মিশ্র ও মো. আব্দুল হাই এবং ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ট পদে মো. তহিদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল মোতালেবকে এমপিও ভূক্ত করতে  মাঠে নেমেছেন। 
অভিযোগ মতে পত্রিকায় ভুয়া নিয়োগ ছাপানো দেখিয়ে ২০০২সালের ২৯জুন ও  ৩ জুলাই পর্যায়ক্রমে ভাষা শিক্ষক ১জন, কম্পিউটার শিক্ষক ১জন ও ৬জনকে সাধারণ শাখায় শিক্ষক এবং ভোকেশনাল শাখায় ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ২জন, ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ট ২জনকে হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। আর ওই নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে দেখানো হয় ডিমলা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস খালেদা ও রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ওয়ার্কসপ সুপারইনটেন্ডেন্ট (পাওয়ার) মো. ফয়েজ উদ্দিনকে। যা ছিল সম্পূর্ন জালিয়াতি।  যা পরবর্তিতে ওই দুই ডিজির প্রতিনিধি তাদের  লিখিত স্বীকারোক্তি প্রদান করেছিল যে তারা ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন না।
এ ব্যাপারে নীলফামারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই নিয়োগে যে ১০জন শিক্ষককে  এমপিও ভুক্ত করার জন্য নথি জমা দিয়েছে এ নিয়ে অনেক বির্তকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশিত মুল পত্রিকাটি দেখাতে পারছেনা। তারা একটি ফটোকপি পত্রিকা জমা দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 7300160224470041177

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item