জলঢাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে কৃষি কর্মকর্তা লাঞ্ছিতর ঘটনায় থানায় মামলা ॥ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা ( নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের হাতে জলঢাকা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা  সাদেকুজ্জামান লাঞ্ছিত হওয়ার একদিন পর সোমবার বিকেলে মামলা হয়েছে। মামলা নং-০৯ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ ব্যাক্তিকে আসামী করে জলঢাকা থানায় ওই মামলাটি করেন।  স্থানীয়রা জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ হোসেনের ছোট ভাই। তিনি এবারের ইউপি নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মত কাঁঠালী ইউনিয়নের আ.লীগের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনছারুল হক, সাদেকুজ্জামান ও আব্দুল আজিজ বিরুদ্ধে কতিপয় দালালের সাথে যোগসাজসে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভূমিহীনদের নাম সরকারী ধান ক্রয়ের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ এনে সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে সোমবার জলঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১২টার দিকে পৌর শহরের সোনালী ব্যংক কার্যালয় সংলগ্ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেনের বাস ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশ করে। সেখানে বক্তব্য দেন, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ও তার শ্যালক আব্দুর রাজ্জাক। সমাবেশ শেষে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরের দেওয়া স্বারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহকারীর হাতে জমাদেন। অভিযোগ মতে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে সোহরাব হোসেন জলঢাকা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে ওই কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন। এবং সেখান থেকে বের হয়ে কার্যালয় চত্তরে হরেন্দ্র নাথ রায় ও জাহাঙ্গীর আলম নামের দুই উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার ওপর চড়াও হন। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ’কাঠালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রোববার দুপুর দেড়টার দিকে আমার কার্যালয়ে ঢোকেন, এসময় তিনি বোরো ধান সংগ্রহে তার ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডে কম সংখ্যক কৃষকের নাম অন্তর্ভূক্ত হওয়ার অভিযোগ তুলে আমার টেবিলে থাকা ডেস্কক্যালে-ার তুলে সেটি দিয়ে এলোপাথারী মারতে থাকেন। এতে আমার ভ্রু ও মুখ কেটে যায়। এরপর তিনি আমার কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাহিরে দুই উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার ওপর চড়াও হন’। তিনি বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এখনো মামলা করিনি। এ বিষয়ে কথা বললে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক গোলাম মো. ইদ্রিস বলেন, এঘটনায় সোমবার বিকেলে জলঢাকা থানায় মামলা করা হয়েছে। সুত্র মতে চলতি বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানে জলঢাকা উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার কৃষকদের সরকারি খাদ্য গুদামে সরাসরি ধান বিক্রির জন্য দুই হাজার ১৭৬ মেট্রিক টন ধানের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে কাঁঠালী ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় প্রায় ১৮১ মেট্রিক টন ধান । জলঢাকা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন শেখ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইতিমধ্যে মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3965912281469581800

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item