জলঢাকায় জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার
https://www.obolokon24.com/2016/06/jaldhaka_1.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১ জুন॥
দেলওয়ার হোসেন ওরফে দুলাল (৪০) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমু-া ইউনিয়নের পশ্চিম গোলমু-া ঘাটেরপাড় গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই গ্রামের মৃত. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
ডিবি পুলিশের ওসি বাবুল আকতার বলেন, জঙ্গী সদস্যকে গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করে জানান আজ বুধবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আকরাম হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে, দেলোয়ার হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারগারে পাঠানো হয়েছে।
সুত্র মতে গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৩১ মে রাত পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার,ডিমলা,জলঢাকা,দিনাজপুরের চিরিবন্দর ও খানসামায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ১১জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ছয়টি হাতবোমা, একটি চাপাতি ও চারটি চাকু উদ্ধার করা হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় বিভিন্ন হত্যাকান্ড বিকাশের ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। জঙ্গীদের স্বীকারোক্তিত্বে আরো বলা হয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সদস্যরা গোপনে সংঘবদ্ধ হয়ে নীলফামারীতে পুলিশ, বিচারক, পীর, খাদেমসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের হত্যার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ ছাড়া তারা ২০১৫ সালের ৯ আগষ্ট জলঢাকার গোলমুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাধব চন্দ্র রায়কে গুলি করে হত্যা করে। অপর দিকে ২০১৩ সালের ২৩ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে বিকাশ এজেন্টের কর্মী সোহেলকে (৩০) গুলি করে হত্যার পর ২২ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় জঙ্গী সদস্যরা। এসব কথাও অকপটে আদালতে স্বীকার করে জঙ্গীরা। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছে।