ভোটার হচ্ছেন বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা

ডেস্কঃ
আগামী ১০ জুলাই থেকে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের ভোটার করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলকে ২৫ ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করে একটি তালিকা প্রণয়ন করেছে। যা সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।বর্তমানে সে তালিকা ধরে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের ভোটার করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ইসি।সূত্র জানায়, আগামী ১৫ জুন নতুন ভোটার এলাকা সৃষ্টি করে কোড নম্বর প্রদান, ২৬ জুন তথ্য সংগ্রকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ এবং আগামী ১০ থেকে ১৬ জুলাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য (২ নম্বর ফরম) সংগ্রহ করা হবে। আর ভোটার হতে ফটো তোলা হবে ১৭ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত।এরপর ১ আগস্ট খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে, ২৮ আগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা সংশোধন করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে মোট জনসংখ্যা ৩৭ হাজার ৫৩৫ জন। এদের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ ভোটার হওয়ার যোগ্য বলে মনে করছেন ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, পরিকল্পনাটি কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এলাকা পুনর্বিন্যাস অনুযায়ী, পঞ্চগড় সদরের হাফিজাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গারাতি-৭৮, ৭৯ ও ৮০ নম্বর ছিটমহল, হাড়িভাঙ্গার সঙ্গে গারাতি ৭৫, ৭৬, ৭৭, শিংগীমারী ৭৫ নম্বর ছিটমহল যুক্ত হয়েছে।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘীর সঙ্গে পুঁটিমারী ৫৯ নম্বর, কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জের সঙ্গে নাজিরগঞ্জ ৪১, ৪২, ৪৪ থেকে ৪৯ এবং ৫০ থেকে ৫৮ ও ৬০ নম্বর ছিটমহল, দইখাত ৩৮ নম্বরের একাংশ যুক্ত হয়েছে।

মাড়েয়া বামনহাটের সঙ্গে দইখাতা ৩৮ নম্বরের অন্য অংশ, শালবাড়ী ৩৭ (একাংশ) ও বড় শশীর সঙ্গে শালবাড়ী ৩৮ নম্বরের অপর অংশ যুক্ত হয়েছে।

দেবীগঞ্জের টেপ্রীগঞ্জ ইউপির সঙ্গে কোট ভাজনি ২ নম্বর, নাটকটোকার ৩২ ও ৩৩ নম্বর এবং বেহুলাডাঙ্গার ৩৪ নম্বর ছিটমহল যুক্ত হয়েছে।

আর চিলাহাটি ইউপির সঙ্গে বালাপাড়া খাগড়াবাড়ি ৩ নম্বর, কাজলদিঘী ৩৬ নম্বর, বানিয়াপুর ৫ নম্বর, উপনচৌকি ভাজনি ৯ নম্বর ও বালাপাড়া খাগড়াবাড়ি ৩ নম্বর ছিটমহলের আংশিক যুক্ত হয়েছে। দেবীগঞ্জ ইউপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দহলা খাগড়াবাড়ি।

নীলফামারী ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউপির সঙ্গে বড় খানকি-২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ছিটমহল, টেপাখড়ি বাড়ী ইউপির সঙ্গে নগর জিকাবাড়ী ৩১ নম্বর ছিটমহল যুক্ত হয়েছে।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউপির সঙ্গে পানিসাল ১৭, ১৯, ২১ ও ১৫৩ নম্বর, ডাইরকামারী খাসবাস ১৮ নম্বর, কামাত চাংড়াবান্দা ১৬ ও ১৭ নম্বর, লতামারী ২০ ও ২২ নম্বর এবং ডাইরকামারী ২৩ ও ২৫ নম্বর ছিটমহল যুক্ত হয়েছে।

বুড়িমারী ইউপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লতামারী ১৪, খরখরিয়া ১৩ ও ১৫ নম্বর ছিটমহল।

পাটগ্রাম ইউপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফুলকারডাবরি ১০১ নম্বর, বাগডাকিয়া ১২, রতনপুর ১১, ছাট ভোটহাট ২৪ নম্বর ছিটমহল।

কুচলিবাড়ীর সঙ্গে উপনচৌকি কুচলিবাড়ী ৭ নম্বর, ১১৫/৪ নম্বর, জামালদহ বালা পুকরি ৬, বালা পুকরি ৫, ভোটবাড়ী ৮, বড় খানকি ৯, বাঘ ডাকিয়া ১০, বড় খোঙ্গির ৪, বড় কুচলিবাড়ী ১০৭ নম্বর ছিটমহল যুক্ত হয়েছে।

জগতবেড়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাঁশকাটা ১৩০ থেকে ১৩২ নম্বর, ভোগরামগুড়ি ১৩৩, চেনাকাটা ১৩৪ ও জেএল ৩৮ এবং ৩৯ নম্বর ছিটমহল।

জোংড়ার সঙ্গে বাঁশকাটা ১১৫, ১১৮ থেকে ১২৯ নম্বর ছিটমহল যুক্ত হয়েছে। বাউড়ার সঙ্গে থাকছে কুচলিবাড়ী ২৬ ও ২৭ নম্বর ছিটমহল।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউপির সঙ্গে বাঁশপচাই ১৫১ ও  বাঁশপচাই ভিতরকুটি ১৫২ নম্বর ছিটমহল এবং হাতিবান্দার গোতামারী ইউপির সঙ্গে গোতামারী ১৩৫ ও ১৩৬ নম্বর ছিটমহল যুক্ত হয়েছে।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর ফুলবাড়ী, কাশিপুর ও ভাঙ্গামোড় ইউপির সঙ্গে দাসিয়ারছড়া ১০ নম্বর ছিটমহলটি যুক্ত হয়েছে। আর ভুঙ্গুরামারীর শিলখুড়ী ইউপির সঙ্গে থাকছে কালামাটি ১৪১ নম্বর, সেউতিকুরশা ১৪২ নম্বর ও সাহেবগঞ্জ ১৫৩ নম্বর ছিটমহল।

এছাড়া পাথরডুবির সঙ্গে বড় গাওচুলকা ১৪৩, ১৪৬ ও ১৪৭ নম্বর, দীঘলতরী ১৪৪ ও ১৪৫, গাড়লঝড়া ১৪৮ ও ১৪৯ নম্বর ছিটমহল যুক্ত হয়েছে।

মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারতের শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির বর্তমান সরকার ছিটমহল বিনিময় করে।

এরপর দু’দেশের সরকার তা বিলুপ্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের পূর্ণ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এখন সেই সব নাগরিকদের ভোটার করে নিচ্ছে ইসি।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 128599550803138620

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item