৫ম ধাপ ইউপি নির্বাচন জলঢাকায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ও জাপার সকল প্রার্থীসহ ২২জন জামানত হারিয়েছে।
https://www.obolokon24.com/2016/06/election-jaldhaka.html
মর্তুজা ইসলাম,জলঢাকা প্রতিনিধিঃ
২৮ মে অনুষ্ঠিত ৫ম ধাপ নির্বাচনে
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি, জাতীয়
পার্টির সকল প্রার্থীসহ ২২ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছে। এবারের নির্বাচন
দলীয়ভাবে হওয়ায় আঃলীগ, বিএনপি, জাতীয় পাটি, জাসদ, স্বতন্ত্র ও জামায়াতের
স্বতন্ত্র সহ ৫৮ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জামানতের টাকা ফেরত প্রসংগে নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায় প্রদত্ত ভোটের
৮ভাগের ১ ভাগ ভোটের কম পেলে সেই প্রার্থী জামানতের টাকা ফেরত পাবেনা।
বিএনপি ও জাতীয়পাটি থেকে ৫জন করে প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে
অংশগ্রহন করে সকল প্রার্থী জামানত হারায়। এছাড়াও আঃলীগের ১জন, জামায়াত
সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ২জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯ জন জামানত
হারিয়েছে। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন কৈমারীতে বিএনপির মোতাকাব্বীর
হোসেন প্রাপ্ত ভোট ৮২, জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী আহসানুজ্জামান জুয়েল
২৭৩৩, খুটামারায় বিএনপির নুরুল আমিন প্রাপ্ত ভোট ১৮০, ডাউয়াবাড়ীতে বিএনপির
রোকনুজ্জামান সেলিম প্রাপ্ত ভোট ২৪০, জাপার এজাবুল ইসলাম প্রাপ্ত ভোট ২৪,
ধর্মপালে বিএনপির মকছেদ আলী প্রাপ্ত ভোট ৪৮, শিমুলবাড়ীতে বিএনপির আব্দুস
সামাদ প্রাপ্ত ভোট ১২৭৩, শৌলমারিতে জাপার মোহাম্মদ আলী প্রাপ্ত ভোট ২৪৫,
গুলমুন্ডায় জাপার প্রভাষক সামসুল আলম প্রাপ্ত ভোট ১৪০৪, আঃলীগের আবু বাসার
নুরুজ্জামান ১৬৩১, বালাগ্রামে জাপার তহিদুল ইসলাম প্রাপ্ত ভোট ৩৫৯,
মিরগন্জে জাপার তহমিদার রহমান মিলন প্রাপ্ত ভোট ৪৯ ও গোলনায় জামায়াতের
মনোয়ার হোসেন মিলন প্রাপ্ত ভোট ৭৪৮। ধানের শীষ ও লাঙল প্রতিকের এরকম
ভরাডুবিতে ইমেজ সংকটে পড়েছে দল দুটির নেতাকর্মীরা। পৌর বিএনপি সম্পাদক
ময়নুল ইসলাম এই ভরাডুবি সম্পর্কে বলেন এ নির্বাচনে আমরা সেভাবে অংশগ্রহন
করি নাই। এব্যাপারে জাতীয়পাটির নেতা সাইদার রহমান বুলু বলেন প্রার্থী মনোয়ন
আমাদের ঠিক ছিলনা। উল্লেখ্য যে এই নির্বাচনে আঃলীগের ৫ জন, আঃলীগের
বিদ্রোহী ৪জন, স্বতন্ত্র ১জন ও জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র ১জন চেয়ারম্যান
নির্বাচিত হয়।