ডোমারে আকর্ষনীয় মোড়কে নিম্নমানের বীজের রমরমা ব্যবসা।
https://www.obolokon24.com/2016/06/domar_11.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
প্রতি বারের মতো এবারও ডোমার উপজলার বিভিন্ন হাট বাজারে আকর্ষনীয় মোড়কে নিম্নমানের আমন ধান বীজের পসরা নিয়ে বসেছে এলাকার অসাধু ব্যবসায়ীরা। চাকচিক্যময় মোড়কের(প্যাকেট) গোলক ধাধায় পড়ে কৃষকেরা প্রতারিত হলেও কর্তৃপক্ষ রয়েছে নিরব দর্শকের ভুমিকায়। অনুসন্ধানে জানাগেছে, ইরি তোলার পর পরেই শুরু হবে বর্ষার আমন মৌসুমের বীজতলা তৈরীর জন্য এলাকার কৃষক ইতিমধ্যে ধান বীজের দোকান গুলোতে ভীর করতে শুরু করেছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার অসাধু বীজ ব্যবসায়ীরা নামিদামী কোম্পানীর আকর্ষনীয় নকল মোড়কে নিম্নমানের বীজ ধান ভরে বিভিন্ন হাট বাজরে অবাধে বিক্রির উৎসবে মেতে উঠেছে। উপজেলার বোড়াগাড়ী, জোড়াবাড়ী, সোনারায়, কেতকীবাড়ী, আমবাড়ী, বসুনিয়ার হাটের বিভিন্ন দোকান গুলো ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ দোকানেই সরকারের অ-অনুমোদিত বেশ কিছু কোম্পানীর বীজ ধান অবাধে বিক্রি করছে। তুলনা মূলক দাম কম হওয়ায় এসকল বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করলেও চারা না গজানোয় কৃষকেরা ব্যপক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হচ্ছে। কারণ মৌসুমের শুরুতে বীজতলা তৈরীতে একবার হোচট খেলে পরবর্তিতে ভাল বীজেও চারা গজায় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বীজ ব্যাবসায়ী এ প্রতিবেদক কে জানান, অসাধু ব্যবসায়ীরা নামিদামী কোম্পানীর খালি মোড়কে নিম্নমানের বীজ ধান ভরে বাজার জাত করছে। কৃষক এসকল বীজ ধান ক্রয় করে বীজতলা তৈরীর পর বিভিন্ন ধরনের ধানের সমস্যা দেখা যায়। মাহিগঞ্জের কৃষক ছপিয়ার রহমান জানান, বোড়াগাড়ী হাট থেকে ২প্যাকেট স্বর্ণ ধান বীজ ৪শত টাকায় কিনে বীজতলায় ছিটিয়ে ৭/৮ দিন পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত চারা গজায় নাই। জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের আব্দুল খালেক জানান, মিরজাগঞ্জ হাট থেকে ৬প্যাকেট লালগুঠি ধান বীজ ১৩শ টাকায় কিনে বীজতলায় ছিটালেও অর্ধেক চারাও গজায়নি। এখন নতুন করে বীজ ধান কিনতে হবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ জাফর ইকবাল জানান, বিএডিসির বীজ কিনলে কৃষকের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নাই। তবে বাজারে খোলা বীজ কেনার আগে চাকচিক্যময় প্যাকেট নয় মান যাচাইয়ের পরামর্শ দেন তিনি। বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নিমোজখানা গ্রামের গোদাধর বলেন, বাজারে নিম্নমানের বীজ ধান বেচাকেনার উপর সরকারের নজরদারী জোরদার করলে কৃষকের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।