সৈয়দপুর রেল কারখানা উন্নয়নের পথে চুরিও থেমে নেই


মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি



সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার উন্নয়ন করতে চাইলে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। সেই সাথে এ কারখানা থেকে যাতে করে যন্ত্রাংশ চুরি না হয় সেদিকেও কড়া নজর রাখতে হবে। সম্প্রতি রেলওয়ে কারখানায় শ্রমিক সংগঠনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে বিশ্বাসী। উন্নয়নে উন্নয়নে তিনি ভরে দিতে চান সারাদেশ। যা দেশের কোন সরকারই করেননি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী গতদিনে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা উন্নয়নের জন্য ১২২ কোটি টাকা দিয়েছেন। সে টাকায় উন্নয়নের ছোঁয়াও লেগেছে। কিন্তু যদি চুরি বন্ধ না হয় তাহলে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়।
মন্ত্রী বলেন, ১৮৭০ সালে গড়া এ রেল কারখানাটি আধুনিকায়ন ও পুনর্বিন্যাস করার লক্ষ্যে অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন বর্তমান সরকার। সরকারের দেয়া অর্থের সঠিক ব্যবহার হলে উন্নয়নের কমতি হয়না কোনদিনই।
সুধি সমাজ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দপুর রেল কারখানাটির উন্নয়নে ১২২ কোটি টাকা দেয়ার পরও যদি আরও ২৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন তাহলে এরপরেও উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ সরকার রয়েছে উন্নয়নে ব্যস্ত। আর রেলওয়ে শ্রমিক, আরএনবি কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতাদের মদদে চোর চক্ররা কারখানাটি ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা বলেন, বিশাল এ কারখানার উন্নয়ন ঘটলে সৈয়দপুর তথা সারাদেশের মানুষের উন্নয়ন ঘটবে। এ কারণে সরকারও দিয়েছেন ১২২ কোটি টাকা। কিন্তু লাভ কি? সরকারের দেয়া বরাদ্দের পরেও প্রায় প্রতিদিনই কারখানার ১৫ নম্বর গেটসহ প্রধান ফটক দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে দামি দামি স্লীপারসহ লোহার যন্ত্রাংশ। রেলওয়ে কারখানার ১৫নং গেট দিয়ে আস্ত রেললাইন ও লোহার মোটা সীট পাতি সহ যন্ত্রাংশ পাচার করছে ওই এলাকার কুখ্যাত চোর মকবুল, বাওনা, আফতাব, শাহজাহান ও পানিয়া নামের কয়জন। দিনে রেল কারখানার কর্মচারীরা ব্যাগ অথবা বস্তা ভর্তি করে রেলের মূল্যবান প্লেট, নাট বল্টুসহ দামি যন্ত্রাংশ ওইসব চোরদের যৎসামান্য অর্থের বিনিময়ে দিলেও রাতে ওরা আস্ত লোহার লাইনও পাচার করে চলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়জন রেল কর্মচারী বলেন, অসাধু কয়জন শ্রমিক নেতা ও আরএনবি সদস্যদের মদদে ওইসব চিহ্নিত চোরেরা প্রায় প্রতিদিনই লাখ লাখ টাকার মূল্যের যন্ত্রাংশ পাচার করে চলেছে। আর পাচার করা রেললাইনগুলি রাতারাতি টুকরো করে ভ্যান অথবা পিকআপযোগে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে শহরের ভাঙ্গাড়ি দোকান অথবা টিউবওয়েল কারখানায়। শুধুমাত্র কারখানার লোহা বিক্রি করেই তারা হয়েছেন কোটি টাকার মালিক। অথচ তাদের বসবাসের স্থান ও চলাফেরা দেখলে মনেই হবে না তারা কোটি টাকার মালিক এবং তাদের রয়েছে গাড়ি, বাড়ি, জমি জায়গা ও ব্যাংক ব্যালেন্স।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নে ভরা আধুনিকায়ন রেল কারখানার উন্নয়নে এখনই দিনে রাতে কারখানার সবকটি গেটে কড়া পাহাড়ার পাশাপাশি চিহ্নিত ওইসব চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে মন্তব্য সুধিজনের। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8301540349526306534

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item