অর্ধ কোটি টাকার রেল সম্পত্তি বিক্রি করে অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মকর্তার পলায়ন

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

সৈয়দপুর রেল বিভাগের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার রেল সম্পত্তি বিক্রি করে এক রেল কর্মকর্তা সৈয়দপুর ছেড়ে পালিয়েছেন। সম্প্রতি সৈয়দপুর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের অফিসার্স কলোনীর দারুল উলুম মাদ্রাসা মোড় এলাকায় রেলের ওই সম্পত্তি বিক্রি করা হয়।
সূত্র জানায়, বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কর্মরত সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ৮নং ওয়ার্ডের দারুল উলুম মাদ্রাসা মোড়ের এক রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারে দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন। চাকরী থাকা অবস্থায় তিনি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে রেলের ওই সম্পত্তি বিক্রি করার চেষ্টা করলে চাপের মুখে পড়েন। ওই সময় শত চেষ্টা করেও বিক্রি করতে পারেননি। কিন্তু ওই কর্মকর্তাও নাছোরবান্দা। যেমন করেই হোক ওই সম্পত্তি তাকে বিক্রি করতেই হবে। ছলেবলে তিনি যোগদান করেন কারখানা শাখার শ্রমিক লীগ সংগঠনে। এরপর গোপনে একে একে বিক্রি করে দেন অর্ধকোটি টাকার সম্পত্তি।
অপর এক সূত্র জানায়, হাবিবুল্লাহ নামের ওই কর্মকর্তা বছরখানিক হয় রেলওয়ে কারখানা থেকে অবসর নিয়েছেন। অবসরে যাওয়ার পূর্বে ওই অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে ১০টি দোকানের জায়গা তিনি বিক্রি করেছেন প্রায় ১৫ লাখ টাকা মূল্যে। আর অবসরে যাওয়ার পর আরও প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের জমি বিক্রি করেন তিনি। সম্প্রতি রেলওয়ের ওই সম্পত্তিতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা একটি বাড়ি রেনেটা মেডিসিন কোম্পানীর এক ওষুধ বিক্রেতার কাছে ওই বাড়ি ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করে ভোররাতে সৈয়দপুর ছেড়ে পালিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রেল সম্পত্তি ক্রয় করা মালিকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, অবৈধভাবে তারা রেলের সম্পত্তি দখল করেননি। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়েই ক্রয় করেছেন বলে জানান তারা। তবে হাবিবুল্লাহ নামের ওই অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা বলেন, জমিগুলো তার স্ত্রীর নামে লীজ নেয়া ছিল। কিন্তু কিছু লোকের ভয়েই তিনিসহ তার স্ত্রী বিক্রি করে সৈয়দপুর ছেড়েছেন। তার বিরুদ্ধে পেপার পত্রিকায় লিখলে কোন লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে রেল কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) নূর আহমেদ হোসেন বলেন, রেলের সম্পত্তি বিক্রি করার খবর তিনি শুনেছেন। ২/১ দিনের মধ্যে তদন্ত টিমও গঠন করা হবে। তদন্তে রেলের জমি বিক্রি করে রেল কর্মকর্তা পলায়নের সত্যতা মিললে প্রথমতঃ রেলের কাছে গচ্ছিত তার পেনশনের টাকা আটক করা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হবে বলে জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5418030815288801774

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item