পীরগাছায় জয় পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ


পীরগাছা(রংপুর)থেকে ফজলুর রহমানঃ 



গত শনিবার রংপুরের পীরগাছায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ালীগের ৬ জন প্রার্থী, জাতীয় পাটির ১ জন প্রার্থী ও বিএনপি’র ১ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিেেদ্রাহী প্রার্থীথাকায় জাপার কৈকুড়ি ইউনিয়ন হাত ছাড়া হয়।
প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়,পারুল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খাঁন নৌকা প্রতীকে ৯হাজার ৪ শত ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবুল কালাম আজাদ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৮শত ৮৬ ভোট পেয়ে পান। ইটাকুমারী ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান লাঙ্গল প্রতীকে ৫ হাজার ৬ শত ৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্থানীয় আওয়ামীলীগ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ১শত ৭৪ ভোট পান। অন্নদানগর ইউনিয়নে স্থানীয় আ’লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৮ শত ৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিদ্্েরাহী প্রার্থী একাধিকবার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি বরিমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন আনারস প্রতীকে নিয়ে ৫ হাজার ৫৮ ভোট পান। ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ সভাপতি শাহ আব্দুল হাকিম দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে ১০ হাজার ৫ শত ৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে ৮ হাজার ৫ শত ২৫ ভোট পান। তাম্বুলপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা রওশন জমির রবু সরদার দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে ৮ হাজার ১১ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জামায়াত থেকে উপজেলা সেক্রেটারী একাধিক নির্বাচনী সহিংসতা মামলার আসামী বজলুর রশিদ মুকুল আনারস প্রতীকে ৬ হাজার ৬ শত ৯৯ ভোট পন। পীরগাছা সদর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান ধানের শীষ প্রতীকে ৮ হাজার ৩ শত ৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাপা থেকে শাহ রন্জু লাঙ্গল প্রতীকে ৭ হাজার ৭ হাজার ৩৪ ভোট পান। কৈকুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামীগ নেতা শফিকুল ইসলাম লেবু নৌকা প্রতীকে ৬ হাজার ৫ শত ৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পাটি সমর্থিত স্থানীয় নেতা নুর আলম লাঙ্গল প্রতীকে ৪ হাজার ৬৬ ভোট পান। জাপা বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুল আখতার ৩ হাজার ২শত২৩ ভোট পান। জাপা বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় জাপা সমর্থিত প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে । কান্দি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত ইউনিয়ন সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৬ হাজার ২ শত ৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএন পি থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মন্ডল সুজা ধানের শীষ প্রতীকে ৪ হাজার ১০ ভোট পান। 
উপজেলার ৮ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৫ শত ৭৩ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৯ হাজার ৬ শত ৫৮ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪ হাজার ৯ শত ১৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১শত ১১ টি। বুথের সংখ্যা ৫ শত ৮৩ টি। ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১ শত ১১ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার  ৫শত ৮৩ জন এবং পোলিং অফিসার ১ হাজার ১শত ৬৬ জন। চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১শত ২ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৩শত ২২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেছেন। দিনভর ভোট গ্রহন কালে উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের ভিতর একাধিক ভোটারকে বুথের মধ্যে ব্যালট পেপারে সীল মারতে দেখা যায়। বর্তমানে গোটা উপজেলা জুড়ে চলছে প্রার্থীদের ভোটার , কর্মী ও সমর্থকদের তর্ক যুদ্ধ। অনেক প্রার্থীই তাদের ভোটের হিসাব মেলাতে পারছেন না। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2359010174900520766

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item