৪৫ বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি শহীদ জিল্লুর রহমানের

হাজী মারুফ

রংপুরের দমদমায় শহীদ জিল্লুর রহমানের নাম সব জায়গায় লিপিবদ্ধ থাকলেও আজও শহীদের স্বীকৃতি মেলেনি তাঁর। ফলে শহীদ পরিবারের সদস্য হিসাবে সরকারি অনুদানসহ কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না তার পরিবারটি।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১-এর ৩১ মে সুন্দরি মেয়ে আছে রাজাকারদের দেয়া খবরে আলমনগর পীরপুরের মজিবর রহমানের বাড়িতে যায় পাক-হানাদার বাহিনী। মজিবর রহমানের মেয়েদের না পেয়ে তরুণ ছেলে জিল্লুর রহমানকে তিন মামা বাসু মিয়া, গেন্দু মিয়া, চান্দু মিয়াকেসহ ধরে নিয়ে যায় বরবর পাক-হানাদার বাহিনী। যাদের সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এদিন রাতে কোতয়ালি থানাধীন দমদমা ব্রিজ সংলগ্ন ফাঁকা স্থানে নির্মমভাবে গুলি করে যাদের তার মধ্যে জিল্লুর রহমানসহ তিন জনের লাশ পাওয়া যায়নি। দমদমা বধ্যভূমিতে শহীদের নাম ফলকেও জিল্লুর রহমানের নাম রয়েছে। রংপুর পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রংপুর জেলা ইউনিট শহীদ হিসাবে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছে, এমন কী হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ’বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ/দলিলপত্রের অষ্টম খন্ডে জিল্লুর রহমানের নাম অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। 
দেশ স্বাধীনের পর জিল্লুর রহমানের বাবা মজিবর রহমান মারা যান। বছর পাঁচেক আগে মারা যান তাঁর মা ফয়জন নেসা। বড় ভাই মোফা মিয়া বয়সের ভারে ন্যুব্জ, বেকার। দ্বিতিয় ভাই মোটর শ্রমিক আলতাফ মিয়া মারা গেছেন। অপর দুই ভাই বাদল মিয়া ছোটখাটো মাছের ব্যবসা ও জামরুল মিয়া চায়ের দোকার করে কোন রকমে অনাহার-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন।
কিন্তু গত ৪৫টি বছর শহীদ পরিবারের সদস্যরা দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়েও শহীদের তালিকায় তাঁর নামটি তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ভাই বাদল মিয়া বলেন, অন্যান্য মামরা সরকারি বেসরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পেলেও জিল্লুর রহমানের পরিবার পাচ্ছে না। তিনি বলেন, অনেক দৌড়ঝাপ করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। পদে পদে টাকা চায়। টাকা দেয়ার সমর্থ তো আমাদের নাই।
শহীদ জিল্লুর রহমানের ভাগ্নে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, কোথায় ফাইল আটকে আছে আমাদের তা জানা নেই।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2449870522734315575

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item