চিলাহাটি -হলদীবাড়ি রেলপথ স্থাপনে জরিপ কাজ শুরু

তাহমিন হক ববী॥
নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের জলপাইগুড়ির হলদীবাড়ি রেলপথ পুনঃস্থানের সম্ভাবনার দ্বার অচিরেই উস্মুক্ত হতে যাচ্ছে। আর এ জন্য জরিপ কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে প্রায় ৭ কিলোমিটার ও ভারতের হলদীবাড়ি অংশে ৪ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রেলপথ পুনরায় স্থাপনে এই জরিপ কাজ চলছে উভয় দেশের পক্ষে।
 বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী ডিবিশনের দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি জরিপ টিম এ কাজ করছে। বাংলাদেশের পক্ষে জরিপ টিমে রয়েছে  সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ ও সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম।
জরিপ টিমের সদস্যরা জানায় জরিপ শেষে বাংলাদেশ অংশের প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগে। অপর দিকে ভারতের অংশের জরিপের প্রতিবেদন ওই দেশের রেলওয়েতে জমা দেবে ভারতের জরিপকারীদল। এরপর উভয় দেশের যৌথসভায় জরিপের হিসাব অনুযায়ী বরাদ্দ পাস হলে চিলাহাটি-হলদীবাড়ি রেলপথের পুনরায় স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

সুত্র মতে গত রবিবার (৮ মে) জরিপ কাজ শুরু হয়। জরিপ কাজ উদ্ধোধনে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের  জিএম খায়রুল আলম ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান শাহ আলম ভূঁইয়া সহ রেলের অন্যান্য কর্মকর্তা। এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর চিলাহাটি-হলদীবাড়ি রেলপথ পুনরায় স্থানে চিলাহাটি এসে তা পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন  বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শশী কুমার সিংহ। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুদসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
 রেলসুত্র মতে বর্তমানে খুলনার মংলা, ঢাকা ও রাজশাহী থেকে সরাসরি ব্রডগেজের রেলপথ চালু রয়েছে চিলাহাটি পর্যন্ত। আর মাত্র ১১ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার রেললাইন পুনরায় স্থাপন করা হলে ভারতের সাথে ফের সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারবে।

 উল্লেখ যে,দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি অসম বেঙ্গল রেলওয়ের উদ্যোগে ১৮৭০ সালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই সময় ভারতের শিলিগুড়ি থেকে ছেড়ে হলদিবাড়ি হয়ে বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি ও সৈয়দপুর এবং দর্শনা দিয়ে দাজিলিং মেইল ট্রেনটি কলকাতা চলাচল করতো। এ ছাড়া চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি ও জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করতো একটি পাসপোর্ট ট্রেন। চালু ছিল স্থলবন্দর ও চেকপোস্ট। কিন্তু পাক-ভারত যুদ্ধের পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ ও স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর উভয় দেশ স্থাপিত রেলপথটি ১৯৬৫ সালে উঠিয়ে ফেলা হয়েছিল। বর্তমানে উভয় দেশের রেললাইন না থাকলেও রয়েছে রেলপথের অবকাঠামো।

এদিকে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান চিলাহাটি পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর চিলাহাটি স্থলবন্দরের অবকাঠানো নির্মাণের জন্য ১১ একর জমি সরকারিভাবে ক্রয় করা হয়েছিলো।বর্তমানে চিলাহাটি-ঢাকা পথে আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস,রাজশাহী পথে আন্তঃনগর তিঁতুমির এক্সপ্রেস,খুলনা পথে রকেট মেইল নামের তিনটি ট্রেন চলাচল করছে।
রেলওয়ে সুত্র মেেত চলতি বছরের  সেপ্টেম্বর থেকে চিলাহাটি- রাজশাহী  আন্তঃনগর বরেন্দ্র  খুলনা রেলপথে আন্তঃনগর সীমান্ত ও রূপসা  চালু করা হবে। এ ছাড়া চিলাহাটি - হলদীবাড়ি রেলপথ স্থাপনের কাজ শেষে হলে ঢাকা শিলিগুড়ি মৈত্রী ট্রেন ও সেই সাথে এই রেলপথে আমদানী ও রপ্তানীর মালবাহী ট্রেনও সরাসরি চলাচল করবে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 3706421978842158641

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item