গাছে গাছে ঝুলছে বৈদ্যুতিক তার আতংকিত পথচারীসহ গ্রাহক

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে

সৈয়দপুর শহরসহ গ্রামাঞ্চলের রাস্তার পাশে গাছ ও বাঁশের ঝাড়ে বৈদ্যুতিক তার ঝুলে থাকায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন পথচারীসহ গ্রাহকরা। সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে গাছের ডালের সাথে বৈদ্যুতিক তারের সাথে সংঘর্ষ লেগে গরু ছাগলের প্রাণহানি ঘটলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ কেন্দ্রের আওতায় রয়েছেন প্রায় ২৮ হাজার গ্রাহক। তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ২ কোটি টাকার মত রাজস্ব আয় করা হয়।
দেশের জনগণ যাতে সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সুবিধা পায় এজন্য বর্তমান সরকার বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করেই চলেছেন। স্থাপন করছেন নতুন নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সরবরাহ লাইন। ক্রয়কৃত ওই বিদ্যুৎ যাতে করে গ্রাহকদের সরবরাহে ত্র“টি না হয় সেজন্য বিদ্যুৎ বিভাগে পর্যাপ্ত বরাদ্দও দেন প্রতি বছর। কিন্তু সরকারের চাওয়া পাওয়ায় যাতে করে ব্যাঘাত ঘটে এ কার্যক্রমই করে চলেছেন সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানান, শহর বা গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট সংলগ্ন গাছের ডালে অথবা বাঁশের ঝাড়ে বৈদ্যুতিক তার সংঘর্ষ না লাগে এজন্য সরকার প্রতি বছর ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার বরাদ্দ দেন। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী এ বিভাগে প্রায় ৩ বছর থেকে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২১ থেকে ২৪ লাখ টাকা গাছের ডালপালা কাটার বরাদ্দ পেয়েও কোন কাজই করেননি তিনি। সম্পূর্ণ টাকাটাই পটেকস্থ করেছেন। এছাড়া নতুন ট্রান্সফরমার আমদানির ভাউচার দেখিয়ে পুরাতন ট্রান্সফরমার বসিয়ে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়ে চলেছেন তিনি।
শহরের যেসব বড় বড় কলকারখানা, মিল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে মোটা অংকের মাসিক উৎকোচ পান শুধুমাত্র সেখানেই সচল ট্রান্সফরমার বসিয়েছেন। আর সাধারণ গ্রাহকের বেলায় পুরাতন ছাড়া সচল ট্রান্সফরমার ভাগ্যে জোটেনা। এর ফলে ২৪ ঘন্টায় ৪/৫ ঘন্টাও বিদ্যুৎ সুবিধা পায়না সাধারণ গ্রাহকরা। একই অবস্থা বিরাজ করছে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগেও। সেখানেও সরকার গাছের ডালপালা কাটার জন্য প্রতি বছর ৮/১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও বরাদ্দকৃত ওই অর্থ পাগলাপীর পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার একাই পকেটস্থ করে চলেছেন। ডালপালা না কাটার ফলে বিদ্যুৎ স্পটে শহরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় প্রায় ৪/৫টি গরু ও ছাগলের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ থেকে ২০ ব্যক্তি।
সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধানদের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত করলেই থলের সব বিড়াল বেরিয়ে পড়বে বলে মন্তব্য গ্রাহকদের। তবে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও পাগলাপীর পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তারা।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4280774956093104855

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item