আপডেট-নীলফামারীতে কলেজ ছাত্রীকে হত্যার পর গাড়িচালকের আত্মহনন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২১ মে॥
নীলফামারীতে লিজা আক্তার (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন রবিউল ইসলাম (৩০) নামে এক মাইক্রোবাসচালক। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে শহরের মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। লিজা আক্তার মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও পৌর এলাকার পূর্ব কুখাপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।
রবিউল ইসলাম নয়ন উত্তরা ইপিজেডের চায়না সনিক নামের একটি কো¤পানির গাড়িচালক ছিলেন। তিনি জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের নগরবন্দ কিত্তনিয়াপাড়া গ্রামের জয়েদ আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে তিন কলেজছাত্রী শহরের পাঁচমাথা থেকে প্রাইভেট পড়ে কলেজের সামনের সড়ক দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় রবিউল পেছন থেকে রিকশায় এসে কলেজছাত্রী লিজা আক্তারকে আক্রমণ করে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর একই ছুরি দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন তিনি। ওই ছাত্রীটি জীবন রক্ষায় দৌড়াতে গিয়ে ৫০ গজ সামনে গিয়ে সড়কের পাশে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ছাত্রীর বান্ধবী একই কলেজের ছাত্রী সবিতা রাণী রায় বলেন, "আমরা প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৯টার দিকে শহরের পাঁচমাথায় সংগ্রাম স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ে পায়ে হেঁটে তিন বান্ধবী বাড়িতে ফিরছিলাম। এ সময় হঠাৎ পেছন থেকে লিজা আক্তারকে আক্রমণ করে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে একই ছুরি দিয়ে নিজের গলা কেটে আÍহত্যা করে ওই গাড়িচালক। আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে দুজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।"
অপর বান্ধবী একই গ্রামের কলেজ ছাত্রী শ¤পা রাণী অধিকারী বলেন, "গলা কাটা অবস্থায় লিজা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ৫০ গজ দূরে গিয়ে সড়কের পাশে পড়ে যায়। এরপর পেছন ফিরে দেখি লিজাকে আক্রমণকারী ছেলেটি ছুরি নিয়ে নিজের গলা কাটছে।"
লিজার ভাবি জীবন্নেছা বলেন, "নয়ন নামের ওই ছেলেটির সঙ্গে লিজার কোনো প্রেমের স¤পর্ক ছিল না। কিন্তু কলেজ ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়া-আসার পথে গত ছয় মাস ধরে লিজাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল ছেলেটি। এর মধ্যে এক রাতে লিজার বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন বলে তাকে নিয়ে যেতে দুটি মোটরসাইকেল ও দুটি অটোরিকশা নিয়ে তার লোকজন এসেছিল। পরে খবর নিয়ে ঘটনাটি মিথ্যা বলে জানতে পারি। বিষয়টি নয়নের পরিবারকে জানানো হয়েছিল।"
লিজার চাতাতো ভাই জাকির হোসেন বলেন, "নয়ন বিবাহিত আমরা জানি। এরপরও আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো।" গাড়িচালক নয়নের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, "ঘটনা স¤পর্কে আমি কিছুই জানি না। লোকমুখে শুনে সেখানে যাই। রবিউল ইসলাম উত্তরা ইপিজেডের সনিক কো¤পানির মাইক্রোবাসচালকের চাকরি করতো। সে সুবাদে তার স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে ইপিজেডের কোয়ার্টারে থাকতো।"
 নীলফামারী সদর থানার ওসি মো. শাহজাহান পাশা বলেন, "লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।"

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5456947364803965729

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item