শ্রমিক ছুটছেন দক্ষিণাঞ্চল পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

পাকা সোনালী ধানে মাঠ ভরে গেলেও ঘরে উঠার উপায় পাচ্ছেন না কৃষকরা। কারণ অধিক মজুরি পেতে শ্রমিক ছুটছেন অন্য এলাকায়। নীলফামারীসহ সৈয়দপুরের শ্রমিকদের যা মজুরি দেয়া হয় এর চেয়ে কিছুটা হলেও অন্য জেলা উপজেলায় মজুরি বেশি। আর এ কারণেই শ্রমিক শূন্য হয়ে পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা। ফলে পাকা ধান ঝরে পড়ার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সৈয়দপুর উপজেলার ৫ ইউনিয়নে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ধান কাটা শুরুও হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা জমির পাকা ধান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের কৃষক হেলাল বেলাল জানায়, তারা ১৫ বিঘা জমির পাকা ধান কাটার কোন শ্রমিকই পাচ্ছেন না। বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকার মজুরি দেয়ার কথা বলেও মিলছে না শ্রমিক। নিজ এলাকায় কাজ না করে হাজার হাজার শ্রমিক ছুটছেন দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলায়। ট্রেন বা বাসের ছাদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন ওইসব এলাকায়।
মংলু নামের এক শ্রমিক জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে এক বিঘা ধান কাটার মজুরি মিলছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। নিজ এলাকা থেকে বিঘা প্রতি ওইসব এলাকায় ১৫০০ টাকা বেশি পাচ্ছেন বলেই তারা ছুটছেন অন্যত্র এলাকায়।
গতকাল শনিবার রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, পিকআপ স্ট্যান্ড গিয়ে দেখা যায় কিছু শ্রমিকদের উপচেপড়া ভিড়। অল্প টাকায় টিকেট করে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌছাতে ছাদে অথবা গেটে বাদুর ঝুলার মত ঝুলে চলেছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা ভেবে পাকা ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করেও মিলছে না শ্রমিক। চিলাহাটি অথবা ভারতের সীমান্ত এলাকা থেকে আসা যেসব শ্রমিক মিলছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। শ্রমিক সংকটের কারণে তাদের জমির পাকা ধান জমিতেই ঝরে পড়ার আশংকা করছেন কৃষকরা।

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 3988412305085631624

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item