দারিদ্র্যের কাছে হার মানেনি জলঢাকার অদম্য মেধাবী ছাত্র রতন রায়


দারিদ্র্যতা দমাতে পারেনি জলঢাকা উপজেলার খেড়কাটি গ্রামের রতন রায়ের সাফল্যকে। সে মীরগঞ্জ হাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

জলঢাকা উপজেলার খেড়কাটি গ্রামের রতন রায় ভুমিহীন দিনমজুর পিতা সন্তেষ রায়। সন্তেষের অভাবী সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। কখনো গ্রামে কাজ না থাকায় সিলেটে রিকসা চালিয়ে টাকা রোজগার করে সংসার চালান সন্তেষ রায়। রতন রায়ের জন্মের পর থেকেই সংসারে শুধু অভাব-অনটনই দেখেছে। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে তার বেড়ে ওঠা। খেয়ে না খেয়ে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।

তার কোন গৃহশিক্ষক ছিল না। বই না থাকায় রতন সহপাঠীদের কাছ থেকে বই ধার নিয়ে লেখাপড়া করেছে। পরীক্ষার আগে বইয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফটোকপি করে লেখাপড়া চালাতে হয়েছে তার। এমনকি লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারের অন্যদের সঙ্গে রতন রায় কে কৃষি কাজও করতে হয়েছে। ভয় ছিল পিতা-মাতার আর্থিক অসামর্থের কারনে বন্ধ হয়ে যাবে তার লেখাপড়া।

কিন্তু শিক্ষকদের উৎসাহে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পেরেছে সে। এছাড়া মা বাসন্তী রায় নিজেও দিনমজুরির কাজ করে যা আয় করতেন তা দিয়েই ছেলের লেখাপড়ার খরচ যোগানোর চেষ্টা করেছেন। এরকম বৈরি পরিবেশও রতন রায়কে লেখাপড়া থেকে দমাতে পারেনি। অন্তহীন সমস্যা নিয়ে অভাবের সঙ্গে লড়াই করে জীবন সংগ্রামে জয়ী হয়েছে সে। রতন রায় ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে আগ্রহী। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতা তার স্বপ্ন পূরণে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দেখা দিয়েছে। অর্থের অভাবে তার উচ্চ শিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

রতন রায়ের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তার মেধা দেখে বিদ্যালয় থেকে যথাসাধ্য সহায়তা করা হয়েছে। পরীক্ষায় ফরম পূরণের টাকাও নেয়া হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে ছেলেটির লেখাপড়ার কি হবে তা ভেবে তাঁরা শংকিত। তিনি গরীব ও মেধাবী ছাত্র রতন রায়ের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 7234472850865915968

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item