জিএম’র আগমনে রেলের টিকিট শূন্য, বছরের সেরা টিকিট বিক্রি!

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেল স্টেশনে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় জিএম-এর আগমনে বছরের সেরা টিকিট বিক্রি হয়েছে। টিকিট কাউন্টারে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। মুহুর্ত্বে টিকিট শূন্য হয়ে পড়লে স্টেশন মাস্টার হাতে লিখা টিকিট যাত্রীদের বিতরণ করেন। এব্যাপারে স্টেশন মাষ্টার,চিলাহাটি বলেন, পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার আসায় যাত্রীদের মাঝে টিকিট কাটার হার বেড়ে গেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় রবিবার প্রায় ৩০% বেশি অর্থাৎ প্রায় ৪৪হাজার ৮’শ ৯৫টাকার টিকিট যাত্রীরা সংগ্রহ করেন। তিনি জানান,যাত্রীরা এভাবে টিকিট সংগ্রহ করলে যাত্রী সেবার মানও উন্নয়ন হয়; এমনকি যাত্রী নিরাপত্তাও বাড়ে। জানা যায়, ৮ ও ১০মে আন্তঃনগর তিুমীর ট্রেনের টিকিট প্রায় ২০হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়েছে।কিন্তু রেলওয়ের জিএম পরিদর্শনে আসায় তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়। যদিও স্শেন মাস্টার ও বুকিং সহাকারী এটা স্বীকার করেননি। তারা কিছুটা কম বেশির কথা জানান। স্থানীয় বাসিন্দা মমিনুল জানান, তিতুমীর ট্রেনে নিরাপত্তা বাহিনী, টি.টি, এটেন্টডেন্ট, স্টেশনে যাত্রীদের টিকিট কাটার বদলে চুক্তি করে গাড়ীতে তোলে। বাড়তি সুবিধা নেওয়ায় রেল কাউন্টার যাত্রী শূন্য থাকে। হঠাৎ জিএম-এর আগমনের খবর পেয়ে টিকিট কাউন্টারে জনতার ঢল নামে। আব্দুল কাদের বলেন, ডোমারের চিলাহাটি একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন এলাকার মানুষজন এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করে। বিশেষ করে ডোমারের পাশ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার লোকজন বিভিন্ন্ জায়গায় যাতায়াতের জন্য এই রোডই ব্যবহার করে। কম খরচেই এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। তাই আরও দুটি ট্রেন এখান থেকে যাতায়াত করলে জনগণের উপকার হবে। ৯ মে রাজশাহী-চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর তিতুমীর ট্রেনে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল জেনারেল ম্যানেজার মোঃ খায়রুল আলম ও চিফ কমান্ডেন্ট রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী,রাজশাহী শাহ্ আলম ভূইয়া নীলফামারীর কয়েকটি রেলস্টেশন পরিদর্শনে আসেন। এখানে তিনি প্রায় ৪৫মিনিট অবস্থান করেন। রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রেলের পশ্চিমাঞ্চল জিএম মোঃ খায়রুল আলম বলেন, চিলাহাটিতে আমরা ফাস্ট বরেন্দ্র নিয়ে আসব। অলরেডি প্রপোজালও দিয়েছি। বরেন্দ্র নিয়ে আসলে তো আপনাদের অনেকটা লাভ হবে। তিনি বলেন,চিলাহাটি থেকে যে সাত কি.মি রাস্তা তা পাকিস্তান আমলে ১৯৬৫সালের পরে বন্ধ হয়ে যায়,যা আপনারা জানেন।পরবর্তীকালে এটা চালু করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এটা করবো। কিন্তু এটা করতে গেলে আন্তঃদেশীয় একটা প্রোগ্রাম করতে হবে। রিএ্যারেঞ্জটা কিছুটা এসেছে ইন্ডিয়া থেকে। তারা এই কানেকশনটা করতে চায়। তারা যদি না করে তাহলে কোন লাভ নাই। যাত্রী সেবার মানের প্রশ্নে জিএম জানান, কিছুটা ফ্যাসিলিটিজ আমরা করবো। বিভিন্ন জায়াগাতে বিভিন্ন কাজ শুরু করেছি। নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর ৭জন সদস্যকে সৈয়দপুর থেকে এখানে নিয়ে এসেছি যাত্রীদের যেন ভোগান্তি না হয়। তবে সকলকে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে। প্রসংগতঃ পশ্চিামাঞ্চলীয় রেলের শেষ স্টেশন ডোমারের চিলাহাটি। এখানে প্রতিনিয়ত খুলনা মেইল, আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস এই ৩টি ট্রেন যাতায়াত করে। ডোমার বাসির প্রাণের দাবি আরও দুটি ট্রেন চলাচলের। এখানে আরও দুটি ট্রেন চালু হলে এখানকার ব্যবসায়ী-সাধারণ জনগণ কম, খরচে যাতায়াতের সুবিধা পাবে। কারণ অন্যান্য ভ্রমণের চেয়ে ট্রেন ভ্রমণ সুবিধাজনক।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3492661234928518004

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item