জঙ্গিরা একটি মহলের ইন্ধনে মানুষ হত্যা করছে -নীলফামারীতে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি
https://www.obolokon24.com/2016/05/dig.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২১ মে॥
পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন-রংপুর অঞ্চলে আবারও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এখনই শক্ত হাতে তাদের দমন করতে হবে। ইসলামের ভুল ব্যাখা দিয়ে একটি ক্যু-চক্রি মহল তাদের মানুষ হত্যায় লেলিয়ে দিয়েছে। তারা এই সোনার বাংলাদেশ দেশটি জঙ্গিবাদের দেশে পরিনত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি -জঙ্গিবাদ দমনে রংপুর বিভাগের কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যদের স্বত;ফুর্তভাবে এগিয়ে এসে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাগুলোতে জঙ্গিবাদের কুফল স¤পর্কে এলাকাবাসীকে অবহিত করারও উপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
ডিআইজি জানান রংপুর অঞ্চলে এ পর্যন্ত যে সব জঙ্গী পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে তারা সকলে জিজ্ঞাসাবাদে সু-স্পষ্টভাবে বলেছে হত্যা মিশনে তারা নির্দেশ পালন করেন। কিন্তু নির্দেশদাতা কে তাকে তারা চেনে না। ফলে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে নির্দেশ দাতারা এ দেশীয় একটি ক্যু-চক্রি মহল।
আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারী জেলা কমিউিনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা কমিউিনিটি পুলিশিং কমিটির আহবায়ক দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ওই সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাডঃ মমতাজুল হক, জেলা কমিউিনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব চেম্বার সভাপতি এসএস সফিকুল আলম ডাবলু,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সদর উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী এবং জেলা সদর,ডোমার,ডিমলা,কিশোরীগঞ্জ,জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলার কমিউিনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকগণ।
ডিআইজি বলেন জঙ্গীবাদ দমনের পাশাপাশি রংপুর অঞ্চলের প্রতিটি এলাকায় মাদক,জুয়া বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কমিউিনিটি পুলিশিং বড় ভুমিকা রাখবে। তিনি উল্লেখ করে বলেন দেশে আবহমান কাল থেকে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যকম চলমান থাকলেও বিদেশের কমিউনিটি পুলিশিং কার্যকম দেখে বিগত ২০০৭ সাল থেকে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আমাদের দেশে নতুন করে শুরু করা হয়েছে।তিনি বলেন- আগে দেশে মাতব্বররা এলাকায় যে কোন ধরনের সমস্যা নিজেরাই বসে তা সমাধান করতো। ফলে সেসময় দেশে এতো বিশৃঙ্খলা ছিলো না। তাই কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিরসদস্যদের নিজেদের এলাকার যেসব সমস্যা রয়েছে তা প্রথমে চিহ্নিত করে নিজেরাই বসে সমাধান করলে থানায় মামলা সংখ্যা অনেক হ্রাস পাবে এবং এলাকায় নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা থেকে এলাকাবাসী রেহাই পাবে। এছাড়া মামলার কারনে পুলিশী হয়রানী থেকেও এলাকাবাসী রেহাই পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।