সিয়াটল উৎসবে ‘মাটির প্রজার দেশে’
https://www.obolokon24.com/2016/05/culture.html
ডেস্কঃ
‘সিয়াটল আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব’ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ চলচিত্র উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম। আগামী ১৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহরে শুরু হতে যাচ্ছে এর ৪২তম আসর। এ আয়োজনে স্থান পেয়েছে গুপী বাঘা প্রোডাকশনস লিমিটেড প্রযোজিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির প্রজার দেশে’।
উৎসবে অফিসিয়াল সিলেকশন হিসেবে ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন বিজন, প্রযোজনা করেছেন আরিফুর রহমান। সিয়াটলে অংশগ্রহণ করবেন তারা দু’জনই। উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় এই উৎসবে এবার ৭০টি দেশের ৪০০’রও বেশি ছবি স্থান পেয়েছে। এগুলো দেখবে দেড় লাখ দর্শক।
এ খবর জানাতে রাজধানীর পান্থপথের একটি রেস্তোরাঁয় শুক্রবার (৬ মে) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে প্রদর্শন করা হবে ছবিটির ট্রেলার। থাকবেন ছবির অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
‘মাটির প্রজার দেশে’তে অভিনয় করেছেন মাহমুদুর অনিন্দ্য, শেউলী আক্তার, চিন্ময়ী গুপ্তা, রোকেয়া প্রাচী, মনির আহমেদ সাকিল, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ইকবাল হোসেন, রমিজ রাজু, আব্দুল্লাহ রানা, কচি খন্দকার, মাহফুজা বেগম রুমা, প্রশান্ত ত্রিপুরা। ছবিটির চিত্রায়ন হয়েছে রাজশাহী ও ধামরাইতে।
বিজন ও আরিফুর রহমান স্কুল জীবনের বন্ধু। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বিজন পাড়ি জমান মার্কিন মুল্লুকে পদার্থবিদ্যা পড়ার জন্য। আরিফুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে থাকেন নৃবিজ্ঞান। দু’জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন বেশ ক’বছরের জন্য। একসময় দু’জনই আবিষ্কার করেন দু’জনের চলার পথ এক জায়গায় গিয়ে মিলেছে, তা হলো চলচ্চিত্র। এরপর দু’জন মিলে শুরু করেন চলচ্চিত্র নির্মাণ পাটাতন গুপী বাঘা প্রডাকশন্স লিমিটেড। এ বছর বিশ্বের অন্যতম মর্যাদা সম্পন্ন প্রামাণ্যচিত্র উৎসব জাপানের টোকিও ডক’সে প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্ব করেছেন দু’জন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ফিল্ম টেলিভিশন অ্যান্ড থিয়েটার বিভাগে পড়াশোনা করেছেন বিজন। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। প্রতি বছর সারা পৃথিবী থেকে মাত্র ১৮ জন সুযোগ পেয়ে থাকেন এই বিভাগে ফিল্ম পড়ার জন্য। এখানে পড়েছেন ফ্রান্সিস কপোলা, অ্যালেক্সান্ডার পেইন, পল স্রেডার, টিম রবিনসের মতো কিংবদন্তিরা।
এদিকে ২০১০ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডকুমেন্টারি কাউন্সিল এবং স্কটিশ ডকুমেন্টারি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মাণ করেছিলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘ওয়েটিং ফর গডো’। ‘মাটির প্রজার দেশে’ তার প্রযোজিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।