৫ দিনের রিমান্ডে শফিক রেহমান। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পুলিশ বাসায় প্রবেশ করে বলে পরিবারের দাবী


ডেস্কঃ



সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যা পরিকল্পনা মামলায় তার বিরুদ্ধে এ রিমান্ড আবেদন করা হয়।শনিবার দুপুরে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রিমান্ড আবেদন করেন ডিবির এএসপি হাসান আরাফাত। বেলা ৩টায় বিচারক মাজহারুল ইসলামের আদালতে শুনানি হয়।আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। 
এদিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গ্রেপ্তারের আগে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পুলিশ বাসায় প্রবেশ করে বলে জানান শফিক রেহমানের স্ত্রী ও ডেমোক্রেসি ওয়াচের পরিচালক তালেয়া রেহমান।
তিনি অস্ত্রসজল চোখে বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত ছিলেন না। তার (শফিক রেহমান) বয়স হয়েছে। এ অবস্থায় এমন পরিস্থিতির জন্য চিন্তা হচ্ছে।
সাংবাদিক পরিচয়ে এমন ভাবে গ্রেপ্তার সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে; বলেন তালেয়া রেহমান। তিনি বলেন, সকাল ৭ টার কিছু পরে তিনজন লোক বাসার অভ্যার্থনা কক্ষে এসে বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শফিক রেহমানের সঙ্গে দেখা করতে চায়। অভ্যার্থনা কক্ষ থেকে শফিক রেহমানের কাছে বার্তা পাঠানো হলে তিনি তাদের নাস্তা দিতে বলেন। ওই তিনজন নাস্তা খেয়ে বাসার বাবুর্চির কাছে একটি কার্ড দিয়ে তা শফিক রেহমানকে দিতে বলেন।
বাবুর্চি কার্ড নিয়ে উপরের তলায় ওঠার মূহুর্তেই শহিফক রেহমান নিচে চলে আসেন। এসময় ওই তিন ব্যাক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করে। বার্বুচিকে মারধর করে সেই কার্ডটিও নিয়ে যায় পুলিশ। সাংবাদিক শফিক রেহমান সম্পাদিত মৌচাকের ঢিল ম্যাগাজিনের সহযোগী সম্পাদক সজীব অনাচিত জানান, শফিক রেহমানকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসার বাইয়ে একটি সাদা মাইক্রোবাস, দুটি মোটরসাইকেল ও আরও নয়জন ব্যাক্তিকে তিনি দেখতে পেয়েছেন।
সজিব আরও জানান, এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পের কিছু আগে সাংবাদিক পরিচয়ে তিনজন ব্যাক্তি বাসায় এসেছিলেন; যারা ভূমিকম্প হওয়ার পরে কিছু না বলেই চলে যান। ইন্টারভিউ না নিয়েই চলে যাচ্ছেন, এমন প্রশ্নে তখন তারা বলেছিলেন, আজ নয় আরেক দিন।
এদিকে বেলা ১১ টার দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান শফিক রেহমানের বাসায় যান। তারা শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানকে সান্তনা দেন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গোয়ালপাড়া এলাকা পরিদর্শন শেষে শফিক রেহমানকে মুক্তি দিতে আহ্বান জানান তিনি। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, এতে প্রমাণ হয় দেশে গণতন্ত্র নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, নেই লেখার স্বাধীনতা। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান তৈমুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা নুর করিমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 6919282870410534523

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item