সৈয়দপুরে ভ্যালিডেশন সেমিনার অনুষ্ঠিত
https://www.obolokon24.com/2016/04/saidpur_32.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী, ৬ এপ্রিল॥
সৈয়দপুরে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস.্ বাংলাদেশ (রিইব) এর স্ট্রাইভ প্রকল্পের আওতায় হরিজন ও রবিদাস জনগোষ্ঠীর ‘গণগবেষণা প্রতিবেদনের স্থানীয় ভ্যালিডেশন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সৈয়দপুর উপজেলা হলরুমে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।এতে সৈয়দপুর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী ছিলেন প্রধান অতিথি।বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. আব্দুল হান্নান সরকার। হরিজন গণগবেষনা দলের সভানেত্রী তুতিয়া রাণী বাঁশফোড় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। সেমিনারের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস্, বাংলাদেশ (রিইব)এর সৈয়দপুর অফিসের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মতিউর রহমান।এতে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা অংশ নেন স্টাইভ প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর বাবুল চন্দ্র সূত্রধর, অ্যাসিসট্যান্ট প্রোগ্রাম অফিসার নাদিরা ফরহাত, ফিল্ড লেভেল কো-অর্ডিনেটর প্রতাপ সরকার বিজয়,এনিমেটর রাজু দাস ও মুন্না দাস এবং হরিজন সম্প্রদায়ের নেত্রী শান্তি রানী বাঁশফোড়,শেফালী রাণী রবিদাস,নীলা রবিদাস প্রমুখ।সেমিনারটি উপস্থাপনা করেন সংস্থার আঞ্চলিক অফিসের এনিমেটর আমজাদ হোসেন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী বলেন, কোন ধর্মেই মানুষকে উঁচু নিচু হিসেবে ভেদাভেদ করে না। আমাদের সংবিধানেও সকল বর্ণের মানুষের সম-অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রেও দলিত জনগোষ্ঠীর কোটা চালু রয়েছে। তাই এ জনগোষ্ঠীর মানুষকে হীনমন্যতায় না ভোগার আহবান জানান তিনি। সেই সাথে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে তাদের অধিকার আদায় করতে সোচ্চার হতে বলেন তিনি। তিনি অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার জন্য সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ দেন এবং তাদের সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থার থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন। সেমিনারে হরিজন ও রবিদাস সম্প্রদায়ের ৫০ জন নারী পুরুষ গণগবেষক অংশ নেয়।এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনেও অনুরূপ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রশিদুল ইসলাম। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেছিলেন জাহানারা বেগম। এতে ৭০জন হতদরিদ্র নারী-পুরুষ গণগবেষক উপস্থিত ছিলেন।