২টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র একযুগ ধরে বন্ধ সচল ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্টদের

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ

সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উৎপাদনে চলছে চরম দুরাবস্থা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সৈয়দপুর কেন্দ্রের ২ ইউনিট বন্ধ রয়েছে একযুগ ধরে। বন্ধ থাকা ইউনিটগুলো সচল করতে পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। অপরদিকে অবকাঠামোগত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ২০ মেগাওয়াট কার্বাইন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়াতে নেয়া হচ্ছে না কোন পদক্ষেপ। ফলে বিদ্যুৎ দুরাবস্থা লেগেই রয়েছে।
জানা গেছে, পার্বতীপুরের বড় পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, রংপুর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও ঠাকুরগাঁও পিংকিং উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ৩৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকলেও সেখানে উৎপাদন হচ্ছে ১১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ৪টি উৎপাদন কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে চলে রংপুর বিভাগ। কিন্তু সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও ঠাকুরগাঁও পিংকিং উৎপাদন কেন্দ্রে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি বন্ধ থাকার পাশাপাশি বড় পুকুরিয়ায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপরীতে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ও রংপুরে ২০ মেগাওয়াটের বিপরীতে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ায় বিদ্যুতের দুরাবস্থা যেন পিছুই ছাড়ছে না।
সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার ডিজিটাল দেশ গড়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহে বদ্ধ পরিকর। দেশের বাইরে থেকে যৎসামান্য বিদ্যুৎ ক্রয়ের পাশাপাশি উৎপাদন বন্ধ হওয়া কেন্দ্রগুলো সচল করতে জোড় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে শক্তিশালী পরিকল্পনাও রয়েছে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের। সেক্ষেত্রে রংপুর বিভাগের বন্ধ থাকা ২ কেন্দ্র পুনরায় চালু করা হবে কিনা তা বলতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কেউই।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, বর্তমান উৎপাদনকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কেপাসিটি মাত্র ২০ মেগাওয়াট। এ কেন্দ্রটি সচল করে কেপাসিটি বাড়ানো হলে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এ কেন্দ্রেই উৎপাদন হতে পারে। তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুরে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের আওতায় রয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক। এসব গ্রাহকের অনুকূলে ১১ ফিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে ২৭ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এরমধ্যে সৈয়দপুর রেলওয়ে ও ক্যান্টনমেন্টে সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পরই অবশিষ্ট দিয়ে জনসাধারণের বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণেই লোড শেডিং দেখিয়ে অবশিষ্ট বিদ্যুৎ ২ ভাগে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সেবা দেয়া হচ্ছে। বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সচল ও প্রতিটি কেন্দ্রেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারলেই জনসাধারণের ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। অন্যথায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে লাগাতার ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।   

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 843936136204017404

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item