স্যানিটারী ইন্সপেকটরের দায়িত্বে অবহেলায় পীরগাছায় রুগ্ন পশুর মাংস অবাধে বিক্রয়


ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর) ঃ

সংশি¬ষ্ট স্যানিটারী ইন্সপেকটরের দায়িত্বে অবহেলা দূর্ণীতি ও টোকেন বানিজ্যের কারণে রংপুরের পীরগাছায় ৯ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারে রুগ্ন গরু মহিষ ও ছাগল ভ্যানযোগে বাজারে নিয়ে এসে জবাই করে অবাধে বিক্রয় করছে স্থানীয় নামধারী মুনাফালোভী কসাইগণ। 
জানা গেছে , উপজেলার ৯ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্যানিটারী ইন্সপেকটরকে ম্যানেজ করে ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই রুগ্ন পশু জবাই সাপেক্ষে অবাধে চড়া মূল্যে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই সাতদরগা ও চৌধুরানী বাজারসহ প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রায় শতাধিক গবাদী পশু জবাই করে পার্শ্ববর্তী ছোট আকারের বাজারসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সরবরাহ করে থাকেন। কোন অনুমতি ছাড়াই রাস্তার ধারে নামধারী কসাই চৌকি বসিয়ে মাংস বিক্রয় করছে। এসব কসাইদের নিকট থেকে স্যানিটারী ইন্সপেটরের পিয়ন আব্দুর রউফ নিয়মিত সাপ্তাহিক হিসেবে অর্থ উত্তোলন করে থাকেন। বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে উত্তোলনকৃত অর্থ ইন্সপেটরসহ ভাগাভাগি করে নেন বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। উক্ত কসাইদেরকে অনুসরন করে উপজেলার একাধিক হাট বাজারের কসাইগন এভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এমনকি ওই পিয়ন আব্দুর রউফ নিজেকে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেকটর দাবী করে প্রতিটি হাট-বাজারে ঘুরে জোর পূর্বক দোকান মালিকদের ভয় দেখিয়ে চা দোকান, বেকারী ও মুদিখানাসহ অন্যান্য দোকান থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করেন। 
 এদিকে ভুক্তভোগী মহলের অভিযোগ এসব রুগ্ন পশুর মাংশ খেয়ে মানুষজন পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে ভূগছেন। উপজেলার ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল হাটবাজারে রুগ্ন গরূ মহিষ ছাগল জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধের জন্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী কর্মকর্তার দৃষ্টি কামনা করছেন। এছাড়াও প্রতিটি হাট-বাজারে সরকারীভাবে লাখ লাখ টাকা খরচ করে কসাইখানার সেট তৈরী করলেও যত্রছত্রভাবে দোকান বসিয়ে কসাইগন মাংস বিক্রয় করছে । এতে রাস্তা চলাচলকারী লোকজন বিপাকে পড়ছেন। অসহায় সংখ্যালঘুরা রাস্তা চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাদের দিক বিবেচনা করে অতিদ্রুত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা সাপেক্ষে যত্রছত্রভাবে দোকান বসিয়ে মাংস বিক্রয়কারী কসাইদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সু-দৃষ্টিকামনা করছে পথচারীরা।  
পীরগাছা উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী স্যানিটারী ইন্সপেকটার সাইদ মিয়া এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি বটে, তবে পিয়ন আব্দুর রউফ কোন টাকা উত্তোলন করে থাকলে তার জবাব তিনি সঠিক দিতে পারবেন। 
এ ব্যাপারে পীরগাছা ্উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আম্বার আলী তালুকদার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্পটে গিয়ে গরু পরীক্ষা করা আমাদের নিকট কোন নির্দেশনা নেই। অফিসে নিয়ে আসলে আমার লোক পরীক্ষা করে দিতে পারবেন। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1476290766159351375

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item