পীরগাছায় এক কর্মকর্তার দুই পরিচয় বিব্রত তিন দপ্তর


ফজলুর রহমান, পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধিঃ

রংপুরের পীরগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অজ্ঞাত কারণে তিন জনের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের পরিবর্তে পুরাতন বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। এক কর্মকর্তা দুই নাম ব্যবহার করে দুই ধরনের সুবিধা ভোগ করায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন তিনটি দপ্তর।  
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলা মোট পদের সংখ্যা ৪১ টি। বর্তমানে কর্মরত ৩৫ জন এবং ৬টি পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে কৃষি সম্প্রসারন অফিসার এর পদ ২ টি, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার পদ ১টি, প্রধান সহকারী পদ ১টি, অফিস সহকারী পদ ১টি ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ মোকাদ্দেম ১টি পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার জাহেদুল হক চৌধুরীসহ তিন জন নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের পরিবর্তে পুরাতন বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। অন্য দু’জন হচ্ছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ চান্দ মিয়া ও নৈশ প্রহরী নরেন চন্দ্র। উভয়ের জাতীয় পরিচয় পত্রে নামের মধ্যে অসংগতি থাকার কারণে নতুন জাতীয় বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারেননি। এদিকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চান্দ মিয়ার জাতীয় পরিচয় পত্রের ভিন্ন নামের অনুসন্ধান করতে গেলে অজানা অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে। ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার এস এস সি’র সনদ পত্রে নিজের নাম মোঃ চান্দ মিয়া পিতা মোঃ হাকিম উদ্দিন সরদার। জাতীয় পরিচয় পত্রে সনদ পত্রের নামের পরিবর্তে মোঃ আজিজুর রহমান পিতা আমির উদ্দিন সরদার যার পরিচিতি নং ৮৫১৭৩৭৬৭৪০৮৯৪। ধূরন্ধর চান্দ মিয়া ২০০৮ সালে জতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংগ্রহকারীর নিকট দূরভিসন্ধীমূলক নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রকৃত তথ্য গোপন করে এস এস সি/১৯৭২ এর পরিবর্তে অষ্টম শ্রেণী পাশ দেখিয়ে ফরম পূরণ করেছেন। একই ব্যক্তি চান্দ মিয়া/আজিজুর রহমান একই সঙ্গে সনদ পত্র ও জাতীয় পরিচয় পত্রে যথাক্রমে হাকিম উদ্দিন সরদার ও আমির উদ্দিন সরদার দু’জনকে দু’জায়গায় পিতৃ স্বীকৃতি দিয়ে পিতার রেখে যাওয়া সম্পদ ভোগ করিতেছেন। দীর্ঘদিন নিঃসন্তান থাকা হাকিম উদ্দিন সরদার চান্দ মিয়াকে লালন-পালন প্রাক্কালে নিজ সম্পত্তির অর্ধেক রেজিঃমূলে বরাবর চান্দ মিয়া পিতা হাকিম উদ্দিন সরদারকে প্রদান করেন। তার পরবর্তী সংসার জীবনে এক পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। হাকিম উদ্দিন সরদারের মৃত্যুর পর তার ঔরসজাত পুত্র সংসারে অভাব-অনটনের কারণে তিনি বর্তমানে ঢাকায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত আছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা চান্দ মিয়ার কর্মস্থল পীরগাছা হওয়ায় উপজেলার বড় পানসিয়া মৌজায় অজ্ঞাত কারণে নিজ নামকে আড়াল করে আজিজুর রহমান পিতা আমির উদ্দিন সরদার এবং স্ত্রী সামছুন্নাহার স্বামী আজিুজুর রহমান এর নামে রেজিঃমূলে ১৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নং ২১৭(০৫/০১/৮০), ৫৯১৩(১৭/০৬/৮৪), ৮৪৯৪ ও ৮৪৯৫(২৬/০৮/৮৭),  ৮৭৩০(০৩/০১/৮৭), ১৪৫৩ ও ১৪৫৪(২০/০১/৯০) সাবেক দাগ ৩০২, বিএস দাগ নং-৫৬১, ডিপি-২৮ বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চান্দ মিয়ার স্ত্রী সামছুন্নাহার এবং তিন ছেলে মেয়ে স্বামী এবং পিতা হিসেবে আজিজুর রহমান ব্যবহার করেন। যার প্রমান স্বরূপ হচ্ছে তারই ছেলে সামীউর রহমান পিতা আজিজুর রহমান নামে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২০১১সালের সেপ্টেম্বর মাসে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করে অদ্যাবদি চাকুরি করে আসছেন।  সুচতুর চান্দ মিয়া দুই নাম ব্যবহার করে দু’ধরনের সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। 
 বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে চান্দ মিয়ার মূখস উম্মোচিত হবে।  

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1180842039962505381

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item