চাল বিক্রির সদস্য সংগ্রহ ও জনবল নিয়োগের নামে মোটা অঙ্কের প্রতারনা


হাজী মারুফ হোসেন (মনন)



রংপুর নগরীর পূর্ব আশরতপুর এলাকায় স্বাধীন এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়ে পুরো নগরজুড়ে চাল বিক্রির সদস্য সংগ্রহ ও জনবল নিয়োগের নামে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে ব্যাংকের কথিত কর্মকর্তার যোগসাজসে মুদারাবা হিসাব নম্বরের টাকা উত্তোলনের চেকবই গ্রহণ করে সোসাইটির সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও নানান অযুহাতে চেকের সাদা পাতায় সদস্যর  স্বাক্ষর নিয়ে পরবর্তীতে চেকে টাকার অংঙ্ক উল্লেখ করে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। 
২০১৫সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে পূর্ব আশরতপুর স্বাধীন এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্য সংগ্রহ করার জন্য নগরীর তেলীটারি এলাকায় ওসমান গনি ও  বাহারকাছনা এলাকার রাজার বাড়িতে পৃথক দুটি কেন্দ্র খোলেন। পারুল বেগম ও নুরজাহান বেগমকে দলনেত্রী করা হয়। তাদের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করে বাজার দরে চাল সরবরাহ করণের কার্যক্রম চালু করে। এতে ২শ’ টাকা ভর্তি ফি ও ১শ’ টাকা সাপ্তাহিক সঞ্চয় নির্ধারণ করা হয়। স্ব-স্ব এলাকার মানুষ হিসেবে নুরজাহান ৬৫জন ও পারুল বেগম ১শ’ জন সদস্য অর্ন্তভুক্ত করেন। পরবর্তীতে সদস্যদের মধ্যে চাল বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করেন ওই নামধারি প্রতিষ্ঠানটি। ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা চাল ২হাজার ৫০ টাকায় কিনে বাজার দরে সদস্যদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়। বিনিময়ে সদস্যরা মাসিক কিস্তি পরিশোধ করে থাকে।এরমধ্যে ওই সোসাইটির কর্মকর্তারা কো-অর্ডিনেটর পদে জনবল নিয়োগের নামে সোসাইটির সদস্য জোৎ¯œা বেগম, শাহিনা ও পারুলকে প্রস্তাব দেয়। বেতন ধরা হয় মাসিক ৯হাজার টাকা। সদস্যদের সরলতার সুযোগ নিয়ে জামানত হিসেবে ব্যাংকের চেক জমা নেয়া কর্তৃপক্ষ। সুযোগ বুঝে পূর্বে গ্রহণ করা সাদা চেকের পাতায় বিপুল পরিমাণের টাকার অংক বসানো হয় ভুক্তভোগীদের অজান্তে। চেকের পাতায় বসানো টাকার দাবি করছে সোসাইটির কর্তারা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি করায় বিভিন্নভাবে মামলা-মোকদ্দমার হুমকি দেয়া হচ্ছে। সমুদয় অর্থ তুলে নেয়ার জন্য রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম দেওয়ানীর নিকট মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে সোসাইটির কর্তা। এদিকে, অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি আমলে নেন কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম দেওয়ানী। তার মতে, যারা নিজে অনাহারে-অর্ধাহারে দিননিপাত করে তাদের কাছে আবার লাখ লাখ টাকার চেক নিয়ে রেখেছে সোসাইটি। বিষয়টি রহস্যজনক। তারা কিভাবে বা দাবি করা টাকা পরিশোধ করবেন তা নিয়ে, সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।  উল্লেখ জামাতের গুপ্তরোকন ওমর আলী ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচন করার জন্য তৎসময় রংপুর মডেল কলেজের হেডক্লাক চাকুরী স্বেচ্ছায় ছেড়ে সাবেক ওয়ার্ড ১৩ বর্তমান ২৮ নং ওয়ার্ডের জামাতের পক্ষে নির্বাচন করেন  মোরগ মার্কা নিয়ে) তিনি তৎসময় আওয়ামীলীগের প্রাথীর কাছে পরাজিত হন ।নাম না প্রকাশ করার শর্তে জনৈক ব্যক্তি বলেন ওমরআলী রংপুর ও রাজশাহী এই দুইজোনের জঙ্গীদের অর্থদাতা বলে জানান । সঠিক ভাবে নজরদারী করলে থলের বিড়াল বেড় হয়ে আসবে । এ বিষয়ে ২৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ এর চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইলটি রিসিভ করেননি । (চোখ রাখুন অবলোকনে প্রকাশিত হবে ওমর আলীর অর্থ কিভাবে রাজশাহী জামাতের আমীরের হাতে) 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1280198052129628795

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item