অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জমজমাট বেকারী ব্যবসা


পীরগাছা(রংপুর)থেকে ফজলুর রহমান ঃ



রংপুরের পীরগাছার ৯ ইউনিয়নের হাট-বাজারে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জমজমাটভাবে গড়ে উঠেছে বেকারীর কারখানা। বেকারীগুলোতে তৈরী হচ্ছে নিম্নমানের পাউরুটি, জেলিবল, বিস্কুট, মিষ্টি টোস্ট, সিংগাড়া, কেক, সলটেচ, ড্র্র্র্রাই কেক ও চানাচুর সহ নানা প্রকারের খাদ্য সামগ্রী।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী এসব খাদ্য সামগ্রী ভ্যান, মোটর সাইকেল ও ইজি বাইকের মাধ্যমে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারে অবাধে বাজারজাত করছে। বৈধ কোন কাগজপত্র নেই, নেই বিএসটিআই এর অনুমোদন, এমনকি নেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারি। তবে এদিকে থেকে পিছিয়ে নেই স্যানিটারী ইন্সপেকটরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিয়ন আব্দুর রউফ। তার বিরুদ্দে প্রতিটি বাজারে গিয়ে সাপ্তাহিক ও মাসিক হারে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। দায়িত্বপ্রাপ্ত পিয়ন চাঁদার টাকা উত্তোলন করে স্যানিটারী ইন্সপেকটরের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
এদিকে বিভিন্ন হাট-বাজারের বেকারী ঘুরে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র, বেকারীর শ্রমিকগন ঘর্মাক্তবস্থায় হাতে গ্লোবস ছাড়াই সিগারেট হাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাউরুটি, টোস্ট বিস্কুট, সিংগারা ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী তৈরি করছে। মিষ্টি সিংগাড়ার রসের পাত্রে মশামাছির ভন-ভনানী শব্দ এবং ঘরের কোনায় অন্ধকারে সিংগাড়া রাখা হয়েছে। সেখানেও মাছি আর তেলাপোকা বিচরণের পাশাপাশি গাড়ির উড়ানো ধুলাবালি তৈরিকৃত খাবারের সাথে মিশে যাচ্ছে। শ্রমিকরা পরিশোধিত ফুয়েল পলিপ্যাক ছাড়াই নিম্নমানের অপরিশোধিত পলিপ্যাকে কেরোসিনের কুপি জ্বালিয়ে পাউরূটিসহ তৈরি খাদ্য সামগ্্রী প্যাকেটজাত করছে। প্যাকেটগুলোতে বেকারির নাম উৎপাদন বা মেয়াদোওীর্ণের তারিখ লেখা নেই। নেই বিএসটিআইর অনুমোদন। এ বিষয়ে বেকারির একাধিক মালিক সাংবাদিকদের বলেন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে বেকারি চালাচ্ছি। বেকারিতে তৈরিকৃত খাদ্য সামগ্রীর বিএসটিআইর অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ,আমার কেন? উপজেলায় কোন বেকারির বৈধ অনুমোদন নেই। তার মতে উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা তিন ডজন খানেক বেকারির কারখানা থেকে মোটা অংকের মাসোহারা পান স্যানিটারি ইন্সকেটরের পরিচয় দানকারী আব্দুর রউফ। যিনি মূলত স্যানিটারী ইন্সপেটরের পিয়ন। এলাকার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের মতে, এসব বেকারির কারখানায় জমজমাট কারবার চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের নজরদারির অভাব বা অবৈধ চুক্তির কারণে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। 
এ ব্যাপারে উপজেলা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত স্যানেটারি পরিদর্শক আবু সাইদ এর সাথে কথা হলে তিনি মাসোহারার কথা অস্বীকার করে বলেন উপজেলায় অনেক বেকারির কারখানা আছে। বেকারীর মালিকগণ ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া বেকারি কারখানা গড়ে তোলার কোন শর্তই পূরণ নেই। আমি বিষয়টি ্উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 7930390203779927264

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item