নববধুর লাশ উদ্ধার
https://www.obolokon24.com/2016/04/kisargang.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী/বিপিএম জয়,কিশোরগঞ্জ নীলফামারী প্রতিনিধি:
কলাবতী (১৯) নামের এক নববধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দিতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আতœহত্যা করতে বাধ্য হয় নববধু কলাবতী (১৯)। শুক্রবার বিকালে ওই গৃহবধুর লাশ পুলিশ উদ্ধার করে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা পুটিমারী ইউনিয়নের সাতপাই গ্রামের স্বামী দীপক চন্দ্র রায়ের বাড়ির ঘর থেকে। এ ঘটনার পর স্বামী পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি আতœহত্যার প্ররোচনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
চার মাস আগে এ জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল মাঝাপাড়া গ্রামের লাল মোহন চন্দ্রের রায়ের একমাত্র মেয়ে কলাবতীর সাথে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার উক্ত গ্রামের
মৃত দিনোনাথ রায় ছেলে দীপক চন্দ্র রায়ের (২৫) আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়েছিল।
গত দুই সপ্তাহ আগে কলাবতী মায়ের বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর অন্য মেয়ের সাথে পরকীয়ার বিষয়টি তার মা নিভা রানীকে অবগত করে স্বামীর নির্য়াতনের কথা জানিয়ে ছিল বলে কলাবতীর মা সাংবাদিকদের এ কথা জানায়। তিনি বলেন জামাই দীপকের যদি অন্য মেয়ের সাথে প্রেম তাহলে সে আমার মেয়েকে বিয়ে করলো কেন। আমি এর বিচার চাই।
তিনি বলেন বিয়ের সময় নগদ দেড় লাখ টাকা সহ সংসারের ঘর সাজিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এরপরও মেয়ের সুখ হলো না। মেয়ে হলো লাশ। তিনি তার জামাইয়ের এ ঘটনায় শাস্তি দাবি করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কৈমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কহিনুজ্জামান ও পুটিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম। তারা এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দেয়।
এলাকাবাসী জানায় ঘটনাটি আতœহত্যা প্ররোচনার সামিল।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানায়, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করা হবে।