জলঢাকায় ভুট্টাগাছ এখন গো-খাদ্য

মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা, (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ

নীলফামারীর জলঢাকায় ভূট্টাগাছ থেকে ফসল না নিয়ে লাভের আসায় গাছ কেটে বিক্রি করছে কৃষকরা। ফলে গতবারের তুলনায় এবার ভুট্টা উৎপাদন অনেক কম হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী এবার ৪ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা ক্ষেতের আবাদ হয়েছে। জানা গেছে ভুট্টা ক্ষেত থেকে ফসল নিতে হলে ৫ মাসের মত সময় লাগে তাই কৃষকরা অধিক লাভ্যাংশের আসায় ২ মাস বয়সী ভুট্টাগাছ কেটে বাজারে গোখাদ্য হিসাবে বিক্রি করছে আবার সেই জমিতে পাট কিংবা অন্য ফসল চাষ করছে। এক বিঘা জমির ভুট্টা গাছ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য। বালাগ্রামের কৃষক বাহাদুর আলী জানান ১ বিঘা জমির ভুট্টা গাছ পাইকারের কাছে ৯ হাজার বিক্রি করলাম। ভুট্টা তুলতে গেলে আরও ২ মাস সময় লাগত। সেক্ষেত্রে পাট আবাদ করা যেত না। তা ছাড়া এক বিঘা জমিতে ২০ মণ ভুট্ট হলেও ভাঙ্গা, শুকানো ইত্যাদি খরচসহ ৯ হাজার টাকা পেতাম না। কাঁঠালীর কৃষক আহাদ আলী জানান, ভুট্টা বিক্রির চেয়ে গাছ বিক্রিতে অনেক লাভ হয়। ৪টি ভুট্টাগাছ ১০ টাকা দাম। আবার ঝড়, বাতাস হলে ক্ষেত নষ্ট হয় তাই প্রতিদিন ভুট্টাগাছ কেটে নিয়ে গিয়ে বাজারে বিক্রি করি। পাইকার সঞ্জিত কুমার জানায় এক বিঘা জমিতে ৩-৪ হাজার ভুট্টা গাছ থাকে সেগুলো কৃষকের কাছ থেকে ১০-১১ হাজার টাকায় কিনি। একমুটা (৪টি) ভুট্টাগাছ ১০ টাকায় বিক্রি করি। এসময় এ অঞ্চলে গরুর খাদ্যের খুব অভাব দেখা দেয় তাই গরুকে খাওয়ানোর জন্য সবাই ভুট্টাগাছ কিনে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার শাহ মুহাম্মদ মাহফুজুল হক জানায় এভাবে ভুট্টাগাছ কেটে বিক্রি করা ঠিক না। তবে কৃষকরা অধিক লাভের আসায় ও পাট উৎপাদনের জন্য এ রকম করছে। তারপরও আমরা কৃষকদের সাথে আলাপ করে  এটা রোধ করা চেষ্টা করব।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2030978574578693992

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item