নীলফামারীতে পরাজিত প্রার্থীর হামলায় আহত ৭

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২৪ এপ্রিল॥
ইউপি নির্বাচন পরবর্তি পরাজিত ওয়াড সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের  হামলায় বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৪ এপ্রিল)সকাল সাড়ে ৯টায় এই ঘটনা ঘটে নীলফামারীর রামনগর  ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়াডের সরকারপাড়ায়। এতে ৭ জন আহত হয়।  খবর পেয়ে পুলিশ,বিজিবি ও র‌্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায় শনিবারের (২৩ এপ্রিল) অবাধ ও সুষ্ঠ ইউপি নির্বাচনে রামনগর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়াডের সাধারন সদস্য পদে বিজয়ী হয় টিউবয়ের প্রতিকের ওসমান গনি। পরাজিত হয় তালা প্রতিকের রফিকুল ইসলাম ও ফুটবল প্রতিকের আব্দুল হামিদ । তাদের পরিবারের মধ্যে আতœীয়তা রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায় পরাজিত সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে তালা প্রতিকের প্রার্থী  রফিকুল ইসলামের শ্যালিকা খরেজন বেগম(৪০) অপর পরাজিত প্রার্থী ফুটবল প্রতিকের আব্দুল হামিদের চাচাতো বড়ভাই জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী। ঘটনার দিন রবিবার সকাল ৯টার দিকে জয়নাল আবেদীন তার চাচাতো ভাই আব্দুল হামিদের পরাজয়ের কারন হিসাবে তার স্ত্রী খরেজন বেগমের দুলাভাই তালা প্রতিকের রফিকুল ইসলাম কে দায়ি করে খরেজনকে মারধর করতে থাকে। এ খবর পেয়ে খরেজনের দুলাভাইয়ের বাড়ির লোকজন প্রতিবাদ করতে এলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে  পুলিশ  র‌্যাব বিজিবি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পরাজিত ফুটবল প্রতিকের আব্দুল হামিদ তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে  জানান সকালে পরাজিত অপর তালা প্রতিক প্রার্থীর লোকজন দলবল সহ এসে তাদের সরকার পাড়া এলাকায় হামলা চালায় । এতে তিনি সহ ৭ জন আহত হয়। হামলাকারীরা তাদের ৪টি পরিবারের ১১টি বসত ঘরের চাটিবেড়া ভাংচুর করে। আহতদের মধ্যে ফুটবল প্রতিকের পরাজিত প্রার্থী আব্দুল হামিদ(৪৫) তার স্ত্রী নুর নাহার(৪০) মেয়ে লায়লা (২৪) ছেলে নুর মোহম্মদ(২৬) ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম(২৭) শ্যালিকা পারিজা (৩৫) প্রতিবেশী আব্দুল কালাম(২৫) কে নীলফামারী সদর আধুনিক হামপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পরাজিত তালা প্রতিকের সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন তার শ্যালিকা খরেজন বেগম হলো পরাজিত ফুটবল প্রতিকের সদস্য প্রার্থী আব্দুল হামিদের তার চাচাতো বড় জয়নালের স্ত্রী।  তারা আমার শ্যালিকাকে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে ওরা নিজেরা নিজেদের বসত ঘর ভাংচুর ও নিজেদের শরীরে ক্ষত করে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আমরা কোন হামলা বা আঘাত এবং বসত ঘর ভাংচুর করিনি। নীলফামারী সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ ,বিজিবি ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে যায়। তবে এ ঘটনায় বিকাল পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1580858773299899248

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item