পীরগাছায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা

পীরগাছা(রংপুর)থেকে ফজলুর রহমানঃ

চতুর্থ পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রংপুরের পীরগাছার ৮ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১শত ২ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৩শত ২২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন । এদিকে ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওামীলীগ , ২টিতে বিএনপি ও ১টিতে জাপা’র বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন। ফলে ওইসব ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবির আশঙ্কা করছে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।  পারুল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খাঁন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। বিএনপি থেকে ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। ইটাকুমারী ইউনিয়নে স্থানীয় আওয়ামীলীগ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন।  এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আওয়ামীলীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান জসিজল হক। বিএনপি সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ধানের শীষ প্রতীক ও জাপা থেকে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। চশমা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আদম আলী । অন্নদানগর ইউনিয়নে স্থানীয় আ’লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা করছেন। এদিকে একাধিকবার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি বরিমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন দলীয় প্রতীক না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এদিকে বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। দলীয় প্রতীক না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবার রহমান        নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। জাপা থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আলহাজ্ব মোস্তফা। অন্নদানগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে একটি সুত্রে জানা যায়। যেকোন সময় উভয় সমর্থকের মঝে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। ছাওলা ইউনিয়ন বিএনপি থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আ’লীগ সভাপতি শাহ আব্দুল হাকিম দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন । এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান বাদল। জাতীয় পার্টি থেকে শামসুজোহা চঞ্চল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াত নেতা আলতাব হোসেন ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাম্বুলপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা রওশন জমির রবু সরদার দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে জমজমাটভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এদিক দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আ’লীগ সাবেক সভাপতি মোঃ শামছুল হক  তহশীলদার মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে মোন্নাফ মিয়া লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জোরালোভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। জামায়ত থেকে উপজেলা সেক্রেটারী একাধিক নির্বাচনী সহিংসতার আসামী বজলুর রশিদ মুকুল আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নুরুজ্জামাল @ জামাল বিএস নির্বাচন করছেন। সদর ইউনিয়নে আ’লীগ থেকে রশিদুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন। জাপা থেকে শাহ রন্জু লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মাঠ চষে বেরাচ্ছেন। এখানে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতা নুরুল আমিন বুলেট ও আবুল কালাম আজাদ রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাবিব-উল-হাসান বাবু ও বাসদ সমর্থিত প্রার্থী কমরেড হিমাংশু বর্ম্মন হৃদয় দলীয় প্রতীক নির্বাচনী প্রচারনা করছেন। কৈকুড়ী ইউনিয়নে জাতীয় পাটি সমীর্থত লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন স্থানীয় নেতা নুর আলম। আওয়ামীগ নেতা শফিকুল ইসলাম লেবু নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ওই ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহেদ কামাল স্বতন্ত্র প্রার্থী । এখানে জাপা’র বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছের বাবুল আকতার। কান্দি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত ইউনিয়ন সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মাহবুবার রহমান সেফু ও মশিয়ার রহমান। বিএন পি থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মন্ডল সুজা ধানের শীষ প্রতীক ও  জাতীয় পার্টির নেতা ময়না খাঁন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন। সব মিলিয়ে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারনা জমে উঠেছে। একাধিক ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় দলীয় প্রাথীদের ভরাডুবির আশঙ্কা করছে স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ জেলা উপজেলার কর্ণধারগণ।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 8097184352752381388

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item