দলীয় প্রতিক না পাওয়ার শোকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
https://www.obolokon24.com/2016/04/election_29.html
হাজী মারুফঃ
নৌকা প্রতিক না পাওয়ার শোকে মারা গেলেন রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ৮নং রামনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তানভিরুজ্জামান প্রামাণিক তানভির (৩৫)। প্রভাবশালি নেতাদের কূট-কৌশলে দলীয় প্রতীক না পেয়ে ঢাকায় অবস্থানরত তানভির বুধবার অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হলে একই দিন তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইভ সাপোর্টে রাখা হয়। এই অবস্থায় তার মৃত্যু হলে বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার লাইভ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়।
জানা গেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি তৃণমুলের এক সভায় তানভিরকে দলীয় প্রতিক বরাদ্দ দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ২০১১ সালে নির্বাচন করে অল্প ভোটে হেরে গেল্ওে নৌকা প্রতিক পেলে জয় অনেকটা নিশ্চিত হবে বলে এই সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ২০ মার্চ সভার তারিখ নিধারণ করা হয়। কিন্তু ১৯ মার্চ হঠাৎ তানভিরের বাবা আব্দুল মজিদ প্রামাণিক মারা গেলে তানভির সভাটি তিন দিন পেছানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু সেই সভা আর না করে বদরগঞ্জে সভা করা হয় ৬ এপ্রিল। সেই সভায় তৃণমূলের অংশগ্রহণ কম থাকায় তানভির সভা বর্জন করেন। ওই সভায় রমানাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই প্রামাণিককে নৌকা প্রতিকের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়।
এদিকে গতকাল আব্দুল হাই প্রামানিক এ প্রতিবেদককে জানান ২৬ মার্চ যে রেজুলেশন হয়েছিল তা নিয়মতান্ত্রিক ছিলো না। তানভিরের মৃত্যুতে তিনিও শোকাহত বলে জানান। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ৬ এপ্রিলের সভায় ৬৫ জনের মধ্যে ভোটাভুটি হয়। সেখানে তার প্রতিদ্বদী ছিলেন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তসলিম উদ্দিন, পরে তিনি প্রার্থিতা তুলে নিলে তৃণমুল ভোটে আব্দুল হাই প্রামাণিক নির্বাচিত নির্বাচিত হন বলে জানান।
তানভিরের সমর্থকরা জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির সভার সিদ্ধান্ত কিভাবে পরিবর্তন হলো, তা খতিয়ে দেখলেই সব গুমড় বেরিয়ে পড়বে।
এদিকে তানভিরের অকাল প্রয়ানে শোকের ছাঁয়া নেমেছে রামনাথপুরে। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে খোর্দ্দবাগবাড় গ্রামের বাড়িতে ভিড় করে হাজারও মানুষ।