কিশোরীগঞ্জে একটি ইউনিয়নের ভোট বানচালের অপচেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী, ১১ এপ্রিল॥
ধাইজান নদী ভাঙ্গনের কারনে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪টি ওয়াড থেকে পাঁচ হাজার ভোটার  বিলিন হয়ে যাওয়া ভোটারদের পুনরায় অর্šÍভুক্তি করনের মাধ্যমে  ভোটগ্রহনের দাবি করে উচ্চ আদালতে দায়ের করা মামলাকে  মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে উক্ত এলাকার সাধারন ভোটারগণ। সেই সাথে একটি চক্র উক্ত ইউনিয়নের ঘোষিত চতুর্থ দফায় আগামী ৭ মে ইউপি নির্বাচনকে বানচার করার পায়তারা করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকালে কিশোরীগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
ওই সব ওয়াডের সাধারন ভোটারদের মধ্যে আবেদ আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন বিগত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে প্রায় ২২ হাজার ৪৭৬ ভোটার ছিল। হালনাগাদ ভোটার তালিকায় আরো তিন হাজার ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু  সেখানে 
তিন নম্বর ওয়াডের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম ধাইজান নদীর ভাঙ্গনে, এক, দুই,তিন, ও সাত নম্বর ওয়াডের ৫ হাজার ভোটার বিলিন হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার অভিযোগ তুলে সীমানা নির্ধারন দাবী করে ভোট গ্রহনের আহবান জানিয়ে হাইকোটে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী একটি রিট পিটিশন নম্বর ৯৯৬ দায়ের করেন। রিট পিটিশনে  তিনি আরো উল্লেখ করেন ইউনিয় পরিষদের আইন ২০০৯ এর ১৭ ধারা ও একই আইনের ১৩(১) বর্ণিত বিধানটি কার্যকরের দাবি করে।বাস্তবে বাদী তার রিট পিটিশনে যা উল্লেখ করেছে তা সত্য নয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
  সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় ইসি কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের নির্বাচন চতুর্থ দফায় আগামী ৭ মে। তফশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন গত ৭ এপ্রিল  প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করে। গত ১০ ও ১১ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হয়ে গেছে। এ অবস্থায় নির্বাচন বাতিল না করে ভোট গ্রহনের দাবি জানায় ওই সব ওয়াডের ভোটারগণ।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আনিছুল ইসলাম আনিছ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেইন সহীদ সোরওয়ার্দ্দী, সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, লেবু মিয়া ,রশিদুল ইসলাম, ওসমান গনি,হাবিবুর রহমান,দুলাল মিয়া,আলমগীর হোসেন সহ ওই সব ওয়াডের ভোটারগন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্র মতে কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সংরক্ষিত আসনে ১৮ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৫০ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ভারপ্রাপ্ত) হাসান হাবিব বলেন এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যে রিট পিটিশন হয়েছিল তার জবাব আদালত জানতে চেয়েছিল। যার বিস্তারিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4706253485054632576

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item