বিদ্যুতের দাবীতে আন্দোলনে ডোমার ও চিলাহাটি ।
https://www.obolokon24.com/2016/04/domar_13.html
এ.আই পলাশ চিলাহাটি, নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় দীর্ঘ দুই মাস যাবত ডোমার বিদ্যুৎ অফিসের বিদ্যুতের বিরতিহীন লোডশেডিং-এর কারণে পুরো ডোমার উপজেলা ও চিলাহাটির ব্যবসায়ী, এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ সকল স্তরের সাধারণ কৃষকরা দুর্ভোগের সম্মুখিন। ইরিগেশনে সেচ পাম্পের সাহায্যে ধান ক্ষেতে পানি দেওয়া বন্ধের কারণে ধান ক্ষেত নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে দাড়িয়েছ। এর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধের শেষ প্রান্তে দাড়িয়েছে। এলাকার সর্বস্তরের জনগন আজ এই বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং-এর কারণে পথে এসে দাড়িয়েছে। এর প্রেক্ষিতে প্রতিদিন ডোমার ও চিলাহাটিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানব বন্ধন চালিয়ে যাচ্ছে সর্বস্তরের ভ্ক্তুভোগী ছাত্র/ছাত্রী, ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের জন সাধারণ। গত ১২/০৪/২০১৬ইং রাত ৮টায় চিলাহাটি ছাত্র আন্দোলন পরিষদের ডাকে মোমবাতি জালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা বক্তব্য রাখেন, মোকাদ্দেস হোসেন লিটু, ইউপি সদস্য সহিদুল হোসেন লিটন, হাকিমুল ইসলাম সুফল, আরিফ চৌধুরী প্রমুখ।
অপরদিকে ডোমার উপজেলায় বিদ্যুতের দাবিতে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছে বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে জোড়াবাড়ী ও বামুনিয়া ইউনিয়নের দুই শতাধিক বিক্ষুদ্ধ কৃষক মিছিলসহ ডোমার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘন্টাব্যাপি ঘেরাও করে রাখে।এসময় বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের আসার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ অফিসে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিসে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। অফিসে কাউকে না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তাদের দাবী তুলে ধরেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা। তারা অভিযোগে বলেন, গত ১ মাস যাবত জোড়াবাড়ী,ভোগডাবুড়ী,কেতকীবাড়ী ও বামুনিয়া ইউনিয়নে বিদ্যুতের চরম অবস্থা বিরাজ করছে। কৃষকরা জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। লোডশেডিং আর লো-ভোল্টেজের কারনে ওই ১ ঘন্টার বিদ্যুতের ব্যবহার করতে পারছেনা কৃষকরা। বোরো ক্ষেতে পানি দিতে না পারায় হাজার হাজার বিঘা জমির ধানক্ষেত মরে যাচ্ছে। নির্বাহী অফিস থেকে বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা ফিরে এসে আবারো বিদ্যুৎ অফিসে অবস্থান নিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ওই এলাকায় বিদ্যুতের কোন সমস্যা হবেনা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের বিদায় করে দেন ডোমার থানা পুলিশ।