সৈয়দপুরে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বাড়তি বিল ভোগান্তি


মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি



সৈয়দপুরে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বাড়তি বিল প্রদানের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। মিটার রিডারদের স্বেচ্ছাচারিতায় বিল শীট তৈরি করায় গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে। সঠিক মিটার রিডিং না দেখে অতিরিক্ত ইউনিট দেখিয়ে করা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। এসব ব্যাপারে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ বিদ্যুৎ চুরির ইউনিট সাধারণ গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে রাজস্ব আয় ঠিক রাখা হলেও খেসারত দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। কিন্তু চোর গ্রাহকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক। এর মধ্যে বাণিজ্যিকের চেয়ে আবাসিক গ্রাহকদের সংখ্যা সর্বাধিক। এসব গ্রাহকরা গতদিনের নিয়মিত বিল পরিশোধ করে আসলেও গত ৩/৪ মাস থেকে বাণিজ্যিক কিছু বিদ্যুৎ চোরের কারণে সাধারণ গ্রাহকদের অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল পত্র দেওয়া হচ্ছে। আবাসিক গ্রাহকদের ৭০ ভাগ আর মৌসুমী সেচপাম্প মালিকরাও বিল ভোগান্তির শিকার। এসব গ্রাহকদের কমপক্ষে ১০০ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত বাড়তি বিল দেয়া হচ্ছে।
গ্রাহকরা বলছেন, কয়েক মাস থেকে এমনিতেই সারাদিনে ৩/৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। লোডসেডিংয়ের দোহাই দেয়া হলেও ভুতুড়ে বিলের অতিরিক্ত লোড দেয়া হচ্ছে। এ কারণে কোন গ্রাহকই বিলের যন্ত্রণায় স্বস্তি নেই। অতিরিক্ত বিলের কথা বলা হলে কর্তৃপক্ষ বলছেন এনালগ বাদ দিয়ে ডিজিটাল মিটার স্থাপনের কথা। আর ডিজিটাল মিটারেও কেন বেশি বিল আসছে জানতে চাইলে বলছেন নিশ্চই কথাও একটা সমস্যা রয়েছে। মিটার চেক করে সমস্যা সমাধানের কথা বলা হচ্ছে। অথচ প্রায় ৪/৫ মাস থেকে কোন প্রতিকারই মিলছেনা গ্রাহকদের। এর ফলে অতিরিক্ত বিলের যন্ত্রণা থেকে ছটফট করছেন ভুক্তভোগীরা।
শহরের বাঁশবাড়ী এলাকার মতিয়ার, ফয়সাল, মানিক, বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া এলাকার কাছুয়া, মামুন সহ অনেকে বলছেন সামান্য গরম উঠলেই বিদ্যুৎ থাকেনা ঘন্টার পর ঘন্টা। অথচ বিলের বেলায় আসছে দ্বিগুন। তারা বলছেন, শহরের বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিজ, কলকারখানাসহ ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বিদ্যুৎ যাওয়া বা লোডশেডিং হওয়া চোখেই পড়েনা। অথচ সাধারণ গ্রাহকের বেলায় বিদ্যুতের নানা সমস্যার পরেও অতিরিক্ত বিল আদায় করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এ দপ্তরে যোগদান করার পর থেকেই চোর গ্রাহকরা দাপটের সাথে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। আর সাধারণ গ্রাহকরা হচ্ছে হয়রানির শিকার। তবে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে বলেই বিলও বেশি হচ্ছে। তাছাড়া তিনি হলেন এ দপ্তরের প্রধান। কখন, কোথায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা হবে এবং কোথায় লোডশেডিং দেয়া হবে তা তিনি ভাল জানেন। গ্রাহকদের কথায় চললে দপ্তর প্রধান হতে পারতেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1854949704284436504

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item