সৈয়দপুর বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে নির্বাচন নিয়ে হতাশায় ভোটাররা

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নটি দুই ভাগে বিভক্ত করার দাবির দীর্ঘ ৮ বছর নির্বাচন বন্ধ থাকে। ইউনিয়নটি আয়তনে বৃহৎ হওয়ার কারণেই বিভক্তির দাবি উপেতি হয়ে চলতি বছরে ওই নির্বাচন হবে বলে আশায় বুক বেধেছিল ইউনিয়নবাসী। কিন্তু চলতি বছরেও নির্বাচন হবে কিনা এর কোন সদুত্তর আজও মেলেনি।
জানা যায়, সৈয়দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান ২০০৮ সালে তার মেয়াদকাল থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু এলাকার বেশ কিছু ভোটার ওই ইউনিয়নটি দুই ভাগে ভাগ করার দাবি তুলে স্থানীয় মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেেিত প্রস্তাবনা যাচাই করে নির্বাচন দেয়ার নির্দেশনা দিলে ওই সময়ের নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান মহামান্য হাইকোর্টে ২০১১ সালে নির্বাচন চেয়ে একটি রীট পিটিশন করেন। পিটিশন নং ৫২৩২। এ কারণে পূর্বের পরিষদই ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। যার ফলে সিংহভাগ ইউনিয়নবাসী হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
ওই ইউনিয়নের একাধিক সূত্র জানায়, চলতি বছরে দেশের প্রায় সব ইউনিয়নেই নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়। এরই প্রেেিত সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নবাসীও ধারণা করেছিল দীর্ঘদিন পর হলেও চলতি বছরের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু শনিবার সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস মারফত বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ার কোন প্রকার পজেটিভ সংবাদ না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন ইউনিয়নবাসী। তারা ােভ ও দোষারোপ করতে থাকেন ওই ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যানকে।
এ ব্যাপারে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলার নির্বাচন অফিসার নূরুন্নাহার ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমানের রীট পিটিশনের রায়ে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের নির্বাচন করার কোন বাধা নেই আদেশ দেয়া হয় ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর। কিন্তু ওই আদেশের প্রেেিত ২০১৬ সালে সারাদেশের ন্যায় সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই মর্মে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার নির্দেশনা মেলেনি। প্রধান নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্দেশনা পেলেই ওই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা প্রকাশ করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। যতণ পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ওই ইউনিয়নের নির্বাচনের নির্দেশনা আসে ততন পর্যন্ত ওই ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কোন সম্ভবনাই নেই বলে জানান তিনি।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান বলেন, ইউনিয়নটি দুই ভাগে বিভক্ত হোক, আর নির্বাচন হোক তাতে তার কোন আপত্তি নেই। জনগণের ভালোবাসায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণ যেটা ভালো চাইবেন সেটাই করতে পারেন। তবে চলতি বছরের ওই ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে বলে যারা বলে বেড়াচ্ছেন তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন কর্তৃক কোন নির্দেশনাই এখন পর্যন্ত সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার পাননি। যারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে তারা শান্ত ইউনিয়নকে অশান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8814057146578957298

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item