সৈয়দপুর কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

সৈয়দপুর কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছেন শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। গত ২৮ মার্চ রাত প্রায় সাড়ে ৮টায় উপজেলার কামারপুকুর বাজারে ওই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। অভিভাবক সবুর আলী সবুরকে সভাপতি করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অগ্নিঝরা বক্তব্য রাখেন, ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি লিয়াকত হোসেন, সদস্য আতাউর রহমান, হামিদুল সরকার, জামেরুল ইসলাম, হাসানুল হক ও কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান জিকো আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন মাত্র ৩ বছর হয় যোগদান করেছেন। তিনি যোগদান করার পর থেকেই শুরু হয় দুর্নীতি ও অনিয়ম। প্রতিষ্ঠানের উপার্জিত অর্থ ভাগ বন্টন করতে ম্যানেজিং কমিটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করেন তিনি। কমিটির সভাপতিকে লভ্যাংশের অর্ধেক দেয়ার কথা বলে তার দলে অন্তর্ভুক্তি করেন। এরপর শুরু হয় অর্থ আত্মসাতের খেলা। ৯৪৮ জন শিক্ষার্থীকে আইডি কার্ড ও সোল্ডার দেয়ার কথা বলে আদায়কৃত প্রায় ৮৫ হাজার টাকা পকেটস্থ করা হয়। এরপর নামমাত্র প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৫০০ ইট দিয়ে দেয়াল নির্মাণে ৪৫ বস্তা সিমেন্ট খরচ হওয়ার ভাউচার দেখানো হয়। চলতি বছরের ১৯৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেয়ার কথা বলে ৩৮ হাজার ৬০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। কোন কারণ ছাড়াই ওই প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ৯২৫ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৩০ টাকা করে মোট ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ১৯৩ শিক্ষার্থীদের কোচিং দেয়ার কথা বলে শিক্ষার্থী প্রতি ৯০০ টাকা নিয়ে মোট ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। কম্পিউটার শিক্ষক একজন ও ৫ জন খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের নামে মোট ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। সরকারের দেয়া বই বিনামূল্যে বিতরণে ৭০০ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩৩০ টাকা করে মোট ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব গফুর সরকারের তালাপ্রাপ্ত স্ত্রী নাসিমার কাছে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ডের মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার কোন হিসাব দেয়া হচ্ছেনা। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি মোট ৪২ লাখ ৪১ হাজার ৫০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে বক্তারা ওই প্রতিবাদ সভায় উল্লেখ করেন। তবে এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ও কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব গফুর সরকার ওইসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেন। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্যবৃন্দসহ এলাকাবাসী।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 5690046579297640090

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item