সৈয়দপুরে টার্মিনাল হিসাবে সড়কের ব্যবহার

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে-

বাণিজ্যিক শহর হিসাবে খ্যাত এলাকা সৈয়দপুর। একারণে মিনিবাস, মাইক্রো বাস, ট্রাক ও ট্যাঙ্কলড়ীর পাশাপাশি শহরে চলাচল করছে প্রায় ৯৫০টি অটোরিক্সা। অন্যান্য যানবহন ও মালামাল বহনকারীর জন্য নির্ধারিত স্থানে টার্মিনাল থাকলেও নেই কোন অটোরিক্সার ষ্ট্যান্ড। একারণে জায়গার অভাবে টার্মিনাল হিসাবে সড়ক ব্যবহার করছেন অটোরিক্সার চালকরা।
সূত্র জানায় শুধুমাত্র বাণিজ্যিক শহর হিসাবে খ্যাত হওয়ার কারণে এ শহরে প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস। ঘিঞ্জি এ শহরে দিনের বেলায় পায়ে হেটে চলালই দুষ্কর। পায়ে চালিত রিক্সা চলাচল করছে প্রায় ৬ হাজারের মত। এরপর ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার কারণে যানজট যেন নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে হাড়িয়েছে।
ওই সূত্রটি বলছেন ২০০৫ সালের প্রথম দিকে এ শহরে শুরু হয় অটো রিক্সার চলাচল।  রাস্তার উপর অটো রিক্সার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়ে দূর্ঘটনা এড়াতে অটোরিক্সা গুলো সরানোর জন্য বার বার পৌর কর্তৃপকে অনুরোধ জানানো হলেও কোন তোয়াক্কাই করা হয়নি। এর ফলে শ্রমিক ড্রাইভাররা দাপটের সাথে রাস্তাকে টার্মিনাল বানিয়ে যানজট সৃষ্টি করে চলেছেন।
আনিছুল নামের এক ড্রাইভার জানান তাদের ৯৫০টি অটোরিক্সার জন্য পৌর কর্তৃপকে টার্মিনাল করে দেয়ার দাবী জানিয়ে আসছিল। এ দাবীর সাথে সাথে তারা প্রায় ৩/৪ বছর পৌর কর্তৃপকে অটোরিক্সা প্রতি এককালীন ১৬শ টাকার পাশপাশি মাসিক ২শত টাকা করে প্রদান করেছেন। প্রথম দিকে বলা হয়েছিল যেমন করেই হোক পৌর পরিষদের প থেকে অটোরিক্সার টার্মিনাল করে দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের ভাগ্যে জোটেনি টার্মিনাল।
রহিম নামের অপর এক ড্রাইভার বলেন শুধু পৌর কর্তৃপই নয় রাস্তায় দাড়িয়ে যাত্রী উঠানোর জন্য সিরিয়াল পেতে প্রতিদিন অটোরিক্সার প্রতি ১০/১৫ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এভাবে প্রতিদিনিই তাদের চাঁদা দিতে হচ্ছে প্রায় ১৩/১৪ হাজার টাকা। অন্যদিকে দিনে অথবা রাতে টহলবাহিনী পুলিশ তাদের অটোরিক্সা গুলো টহলের কাজে ব্যবহার করলেও কোন ভাড়া তাদের দেয়া হয়না। তিনি বলেন শহর থেকে যেসব অটোরিক্সা গুলো যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুরের বাহিরে যাওয়া-আসা করে তাদের সাথে মাঝে মধ্যে মটর শ্রমিকদের সংর্ঘষ হয়। রেজিষ্ট্রেশন যুক্ত মটর শ্রমিকদের সাথে তাদের সংর্ঘষে পারবে না বলে চাঁদা দিয়েই চলতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মোতালেব নামের এক শ্রমিক নেতা বলেন গত দিনে তারা পৌর কর্তৃপকে টার্মিনালের জন্য অনেক টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তারা টার্মিনাল পাননি। বর্তমানে রাস্তায় দাড়িয়ে যাত্রী উঠা নামা করতেও চাঁদা দিতে হচ্ছে। যেসব টাকা চাঁদা বাজদের দেয়া হচ্ছে সেই টাকাটি নিয়ে যদি পৌর কর্তৃপ একটি টার্মিনাল করেদিত তাহলে একদিকে শহর থেকে যানজট কমে যেতো অন্য দিকে পৌর পরিষদেও জমা হতো লক্ষ লক্ষ টাকা।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 972648635556130623

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item