রংপুরেপীরগাছার আসন্ন তাম্বুলপুর ইউপি নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশি যুদ্ধাপরাধি রাজাকার পরিবারের চাচা-ভাতিজার দৌড়ঝাঁপ

হাজী মারুফ:

পীরগাছা উপজেলার আসন্ন তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নিয়ে এলাকার জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামীলীগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’র স্বপক্ষের জনসাধারণ স্বাধীনতা বিরোধি যুদ্ধাপরাধি তালিকাভূক্ত রাজাকার পরিবারের সদস্যদের নৌকা প্রতীকে সম্ভাব্য মনোনয়ন মেনে নিতে পারছেন না। তৃতীয় দফা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, রাজাকার পরিবার হতে তাম্বুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশি চাচা-ভাতিজাকে নিয়ে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে মাঠ পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে ততই হতাশা ও অসন্তোষ দানা বাঁধছে।
তাম্বুলপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার জন্য বাঙালি বীর সেনানীরা যেসময় বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে বর্বর হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রাণপন লড়াই করে চলছিল; সে সময় তদানীন্তন মুসলিম লীগের পীরগাছা থানার সেক্রেটারি ও পিস কমিটির থানা সভাপতি মতিউর রহমান, তার চাচাতো ভাই মওজুর আলী সরদারসহ তাদের পরিবারের ছেলে, ভাই-ভাতিজা ও  নিকটাত্মীয়রা এলাকায় রাজাকার বাহিনীর নেতৃত্বে থেকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের নিরস্ত্র জনসাধারণের বাড়িঘর লুটপাট ও মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি ঘটায়। চালায় সীমাহীন জুলুম নির্যাতন।
সূত্র আরো জানায়, স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ সময় পরে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের চোখে ধুলো দিয়ে ওই রাজাকার পরিবারের অনেকেই স্বাধীনতার কান্ডারি আওয়ামীলীগের মতো একটি বৃহৎ দলে জায়গা করে নেয়। ধীরে ধীরে এলাকায় আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব চলে যায় রাজাকার পরিবারদের হাতে। বর্তমানে সরদার পরিবারের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রওশন জমির সরদার ও তার ভাতিজা শাহিন সরদার দু’জনেই ৬নং তাম্বুলপুর  ইউপি চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে তাম্বুলপুর এলাকার আওয়ামীলীগের ত্যাগী কর্মী, বিশিষ্ট শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দিন মাস্টার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, রাজাকার পরিবার থেকে উঠে আসা নব্য আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন সরদারকে তাম্বুলপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হলে এলাকার শতকরা নব্বই ভাগ জনগন ভোট দেবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এলাকার মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। প্রাণপ্রিয় আওয়ামীগের অস্তিত্ব রক্ষায় রাজাকার পরিবারের কোনো সদস্যকে ভোট দেবো না।
সেইসাথে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, তাম্বুলপুর ইউনিয়ন ইউনিট কমান্ড’র কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কছের উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ভাবতে অবাক লাগে চিহ্নিত একটি রাজাকার পরিবার থেকে কীকরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার নেতৃত্বকারি আওয়ামী লীগের মতো বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সাহস রাখে। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 3650056642049782153

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item