চাষীদের আগ্রহী করতে নীলফামারীতে তুলা চাষে প্রশিক্ষণ

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৩০ মার্চ॥
নীলফামারী ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে একদিনের তুলাচাষে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গবেষনা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে তুলা উন্নয়ন বোর্ড রংপুর জোনের আয়োজনে আজ বুধবার ওই গ্রামের আব্দুল মালেকের বাসভবনের সামনে সকাল ১১টায় এ উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রনালয়ের তুলা উন্নয়ন বোর্ড ঢাকার উপ পরিচালক ড. মো. তাসদিকুর রহমান।
তুলা উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবীদ মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাথেন কর্মসুচি পরিচালক কৃষিবীদ মো. মোস্তফা কামাল, এম এস এন কটন ইণ্টারন্যাশনাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মালেক, গোমনাতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুল আলম, কৃষক হাসান আলী প্রমুখ।
স্থানীয় কৃষকরা তাদের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান, পাট, গম, আলু, বাদাম, ভুট্টা, সব্জি চাষ করেন। অন্যান্য ফসলে কিছু লাভ হলেও ধান চাষে কোনো লাভ হয় না। কখনো কখনো ধান চাষ করে লোকশানও গুনতে হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে  তাসদিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ধান চাষে পৃথিবীর চতুর্থতম দেশ, মাছ ও সব্জিচাষে তৃতীয় অথচ তুলা আমদানীতে প্রথম। তিনি বলেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের তুলার প্রয়োজন হয়, কিন্তু দেশে চাহিদার ৫ শতাংশ তুলাও উৎপাদন হয় না। ধান চাষে লাভ না হলেও তুলা চাষ করে প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব।বক্তারা বলেন, তুলা উচু যে কোনো জমিতে চাষ করা যায়। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ২০ মন তুলা ফলানো সম্ভব। বাজারে এর দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই। দেশের সব প্রান্তে একই দামে তুলা বিক্রি হয় এবং  প্রতি মৌসুমে একটি দাম নির্ধারণ করা হয়।প্রশিক্ষনে এলাকার শতাধিক কৃষক অংশ নিয়ে তুলা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন, এবং তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তুলা চাষ প্রশিক্ষনে ওই এলাকার একশত কৃষক অংমগ্রহন করেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7394187452626754117

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item