জলঢাকায় অগ্নিকান্ডে আহত বৃদ্ধার মৃত্যু
https://www.obolokon24.com/2016/03/jaldhaka.html
মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের কামারপাড়া শালনগ্রামে বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আহত বৃদ্ধা তাবিউন বেওয়ার (১০৫) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত মঙ্গলবার রাত আ্ড়াইটার দিকে ওই গ্রামের অলিয়ার রহমানের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তার বৃদ্ধা মা তাবিউন বেওয়াসহ চার জন আহত হন। তিনি ওই গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের স্ত্রী।
এলাকাবাসি জানায়, গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে গ্রামের অলিয়ার রহমানে বাড়ির গোয়ালঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসসময় অলিয়ার রহমানে ছয়টি ও আব্দুল আজিজের একটিসহ সাতটি ঘর, আসবাবপত্র, নগদ অর্থ, ধান-চাল পুড়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় তিনটি গরু ও ১১টি ছাগল। এসময় ঘুমন্ত লোকজন জেগে ওঠে ঘর থেকে বের হবে বিলম্ব ঘটা এবং আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে আহত হয় অলিয়ার রহমানের বৃদ্ধা মা তাবিউন বেওয়া, তার বড়বোন হাসনা বেগম (৬০) স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫০) ও নাতনী আখি মণি (৩)। আহতদের মধ্যে রাত তিনটার দিকে গুরুত্বর অবসস্থায় বৃদ্ধা তাবিউন বেওয়াকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
অলিয়ার রহমান বলেন,‘ওই রাতে আমি বাড়িতে ছিলামনা। খবর পেয়ে জলঢাকা শহর থেকে রাত তিনটার দিকে বাড়িতে এসে আমার মাকে গুরত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা ১২টার দিকে মারা যায় সে।’ অগ্নিকান্ডে ১১ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
জলঢাকা দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা মমতাজুল ইসলাম বলেন,‘খবর পেয়ে আমরা পৌঁছার আগেই দুই পরিবারের সাতটি ঘর পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে অলিয়ার রহমানের গোয়ালঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে সেটি কিসের আগুন তা তাৎক্ষণিক জানা যায় নি।’ অগ্নিকান্ডে দুই পরিবারের পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসাস হাবিব।