চিলাহাটি-ঢাকা আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ফেন্সিডিল পরিবহণের গোমড় ফাঁস
https://www.obolokon24.com/2016/03/domar_24.html
এ.আই পলাশ চিলাহাটি নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ
চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী এবং চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী এই দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের মাধ্যমে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অবৈধ পথে ফেন্সিডিল ও গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা । সেই সূত্র ধরেই গত ২৩মার্চ’১৬ইং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটি গামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭.৩৫ মিনিটে চিলাহাটি রেলস্টেশনে প্রবেশ করা মাত্রই প্রশাসনের বিভিন্ন মন্ত্রলায়ের কর্মকর্তারা স্টেশন প্লাটফর্মে এসে জমা হয়। শুরু হয় পুলিশ, রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ এবং বিজিবি’র মধ্যে ফেন্সিডিল উদ্ধারের চেষ্টা। অবশেষে ১.৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে উক্ত আন্তঃনগর ট্রেনের প্রথম শ্রেণির ক্যারেজের পানির ট্যাংক থেকে ৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার হলেও বাকি দুই হাজারের মত ফেন্সিডিলের বোতল উদ্ধারে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেয় সেই আন্তঃনগর ট্রেনটি। গোপন সূত্রে জানা যায় ঐ পানির ট্যাংকে প্রায় দই হাজারেরও উর্ধে ফেন্সিডিল জমা ছিল এবং এই ট্রেনের মাধ্যমে একটি প্রভাবশীলী চোরাচালান সিন্ডিকেট সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে জিআরপি থানার এসআই মাজেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৈয়দপুর থেকে সেই ফেন্সিডিল রাখা ক্যারেজটি ট্রেনের ছাদে পাহারা দিয়ে বোতলগুলো উদ্ধারের লক্ষে চিলাহাটিতে নিয়ে আসি, অথচ চিলাহাটি ৫৬বিজিবি’র সদস্যরা মাদক দ্রব্য উদ্ধারের কর্তৃত্ব কেড়ে নিয়ে উদ্ধারের কাজ চালায়। জিআরপি কর্মকর্তা আরো বলেন চোরাকারবারীরা এই ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে এর কারণেই রেলওয়ে জিআরপি পুলিশের কর্মকর্তারা এই মাদক উদ্ধারের লক্ষে নতুন আঙ্গিকে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।