পেটে বাঁশ বিঁধে ডোমারে ট্রাক চালকের মৃত্যু
https://www.obolokon24.com/2016/03/domar_22.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,আনিছুর রহমান মানিক
রাস্তার ধারে ফেলে বাঁশের স্তুপ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে সড়ক। আবার কিছু বাঁশ ব্যবসায়ী রাস্তার উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে বাঁশ লোড করছে ট্রাকে। আর এতেই প্রাণ গেল অপর একটি পাথর বোঝাই ট্রাক চালকের। আজ মঙ্গলবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর -ডোমার সড়কের ধরনীগঞ্জ নামকস্থানে। মৃত পাথর বোঝাই ট্রাকের চালক উজ্জল ইসলামের(৪০) বাড়ি পঞ্চগড় জেলার জগদল গ্রামে। যে ব্যক্তি সড়কের উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে ওই বাঁশ রেখেছিলেন, তাঁর শাস্তির দাবি উঠেছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর বিভিন্ন সড়কের উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে মালামাল উঠানামা করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো সাধারন মানুষদের লাঞ্চিত করা হয়। ফলে আর কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনা। পুলিশও পালন করে নিরব ভুমিকা। কিন্তু কেন?
জানা যায় পাথর বোঝাই ট্রাকটি (ঢাকা-ট-১৪-৮৩৯৩) পঞ্চগড়ের জগদল থেকে নীলফামারীর ইপিজেডে আসছিল। একই মুখে যাওয়ার জন্য রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ছিল বাঁশ বোঝাই ট্রাক((খুলনা মেট্রো-ট-১১-১০৫৭)। এ সময় পাথর বোঝাই ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা বাঁশ বোঝাই ট্রাকটির পেছনে এসে সজোরে ধাক্কা দিয়ে বাঁশের ট্রাকের বাঁশ পাথরের ট্রাকের গ্লাস ভেঙ্গে চালকের পেটে ঢুকে যায়। ফলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নীলফামারী ও ডোমারের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই ঘন্টা চেস্টা চালিয়ে বাঁশ কেটে নিহত চালকের মৃতদেহ ট্রাকের ভেতর থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়। ওই সময় এই সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ফায়ার সার্ভিসের নীলফামারীর উপ-পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম তরফদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ডোমার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান চালকের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলার মর্গে পাঠানো হয়েছে।