ডিমলায় সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা অগ্নিসংযোগের এক আসামী গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি॥ 
সংখ্যালঘু পরিবারের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে নগদ অর্থ ও মালামাল লুটপাটের ঘটনার
মামলার প্রধান আসামী খলিল উদ্দিনকে (৪৩) পুলিশ গ্রেফতার করেছে।রবিবার (২০ মার্চ) রাতে তাকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা বাবুরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সোমবার (২১ মার্চ)দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। খলিল ডিমলা উপজেলার আগুন খাওয়া টিমের শীর্ষ সদস্য  উপজেলার বালাপাড়া গ্রামের ময়নাল হকের ছেলে। তাকে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিমলা থানার এস আই তাজুল ইসলাম গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
অভিযোগ উঠেছে, খলিল ও বাবুরহাট গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে অর্ধশত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুন্দরখাতা গ্রামে এই ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনার পাশাপাশি হামলাকারীদের হুমকীর কারনে জীবন বাঁচাতে পবিত্র রায় তার পরিবারের ৭ সদস্যকে নিয়ে রাতের আধারে আÍগোপন করতে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় হামলাকারীদের মধ্যে নামীয় ১৮ জন ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। অভিযোগ মতে হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট আখ্যায়িত করার অপচেস্টায় নেমেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য প্রভাবশালীদের উচু মহলের একটি গোপন বৈঠক আজ সোমবার একটি বাসভবনে হয় বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র  দাবি করে।
ওই গ্রামের মৃত মতিলাল বর্ম্মনের ছেলে দুর্গা চরন রায় ডিমলা থানার দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছে তার আবাদী জমি অবৈধভাবে জোড় পুর্বক দখলের চেস্টা চায় আসামীরা। জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের হত্যা সহ গুম করার হুমকী দিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় গত ৫ মার্চ /২০১৬ শনিবার সকাল ১১টায় সন্ত্রাসীরা দলে বলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারীদের শ্লীলতাহানী,নগদ তিন লাখ টাকা ও  সোনার অলংঙ্কার লুটপাট, বাড়ি ঘর ভাংচুর ও সর্বশেষ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে  ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। এতে,ঘরে রক্ষিত সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়।
খবর পেয়ে ডিমলা থানা পুলিশ ও ডিমলা ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে ছুটে আসে। পুলিশ আসার পর
আগুন খাওয়া টিমের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) ফিরোজ কবীর। এরপর ক্ষতিগ্রস্থ সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে দুর্গাচরন রায় ঘটনার বিবরন তুলে ধরে বাদী হয়ে ডিমলা থানায় নামীয় উক্ত খলিল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আমিনুর রহমান সহ ১৮ জন ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি  মামলা দায়ের করে। ডিমলা থানার মামলা নম্বর ৫।( তারিখ ০৫/০৩/২০১৬) মামলায় ধারা রয়েছে ১৪৩/৪৪৭/১১৪/৪৪৮/৪২৭/৩৮০/৩২৩/৩৫৪/৩৭৯/৪৩৫/৪৩৬।
অভিযোগ রয়েছে মামলার পর সন্ত্রাসীরা মুঠোফোনে ওই পরিবারকে হত্যা, গুমের একের পর এক হুমকী দিতে থাকে। ফলে জীবন বাঁচাতে সংখ্যালঘু পরিবারের মৃত রঞ্জিত রায়ের ছেলে পবিত্র রায় তার পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে ঘরবাড়ি ফেলে গত মঙ্গলবার (১৫ মার্চ /২০১৬ )আÍগোপন করতে বাধ্য হয়। অনেকে মন্তব্য করে বলেন  পবিত্র ও তার পরিবার ভারত চলে গেছে সন্ত্রাসীদের হুমকীর কারনেই।
ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমিন খান জানান মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর
আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আগুন খাওয়া টিম অনেকটা  দমে গেছে।
ওসি ঘটনার দিন খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং এবং জমি দখলে যে খুঁটি স্থাপন করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তা তুলে ফেলে সেই খুঁটিগুলো থানায় নিয়ে আসেন বলে জানিয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1782009931149735445

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item