বনশ্রীর দুই সন্তান হত্যা, মায়ের ৫ দিনের রিমান্ড

ডেস্কঃ

রাজধানীর বনশ্রীতে ভাই-বোন অরনী ও আলভীকে নিজের ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার তাদের মা মাহফুজা মালেক জেসমিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (০৪ মার্চ) দুপুরে সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি জেসমিনের বিবাহবার্ষিকী ছিলো। ১৪তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন উপলে তারা বনশ্রীর কিন্ট চায়নিজ রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেতে যান। খাওয়ার পর অবশিষ্ট খাবার সঙ্গে করে নিয়ে বাসায় আসেন তারা। ওই খাবার খেয়ে ভাই-বোন অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশু দু’টিকে প্রথমে আল রাজী হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দু’টিকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুর মূল কারণ কি তা জানতে ময়নাতদন্ত করার কথা বললে ওই মা বারবার নিষেধ করেন। তার নিষেধ না শুনেই শিশুদের ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী শিশু দু’টিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ও তাদের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।

ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরা হলেন- অরনী ও আলভীর গৃহ শিকিা শিউলি আক্তার (২৮), খালু নজরুল ইসলামের ভাগনে শাহিন (২২), মেয়ের মার মামাতো ভাই মো. ওবায়দুর ইসলাম (৩৪), বাসার দুই দারোয়ান পিন্টু মণ্ডল (৩২), ফেরদৌস (২৮)। পরে দুই সন্তানের দাফন শেষে জামালপুর থেকে বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে শিশু দু’টির মা জেসমিন জানান, সন্তানদের স্কুলের পরীার ফলাফল এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় থাকতেন তিনি। তার ধারণা ছিলো, তার সন্তানরা বড় হয়ে কিছুই করতে পারবে না। তাই তিনি ২৯ ফেব্রুয়ারি মেয়ের গৃহশিকিা চলে যাওয়ার পর বিকেল সোয়া ৫টার দিকে অরনীকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান। একই সময়ে আলভী বিছানাতেই ঘুমাচ্ছিলো। জেসমিন ছেলের সঙ্গে একই বিছানায় শুয়েছিলেন। অরনী মায়ের সঙ্গে ঘুমানোর জন্য বিছানায় শোয়ার কিছু সময় পর মা জেসমিন তার মেয়ে অরনীকে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে মা-মেয়ে দু’জনেই বিছানা থেকে মেঝেতে পড়ে যান।

কিছু সময় পর মেয়ের শরীর নিস্তেজ হয়ে গেলে তিনি তার ছোট ছেলে আলভীকে খাটের উপর ঘুমন্ত অবস্থায় একইভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি মরদেহ দু’টির সামনে কিছু সময় ধরে কান্নাকাটি করেন বলেও স্বীকারোক্তি দেন।

পরে এ হত্যাকাণ্ড লুকাতে তিনি নিজেই একটি গল্প তৈরি করেন। সেই অনুযায়ী সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করেন, দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমানোর পর তার ছেলে-মেয়েরা আর ঘুম থেকে ওঠেনি। খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 6710688083489733187

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item