“আমরা বাংলাদেশের দাদা নই, সহযোগী”- বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব

ডেস্ক:
ভারতের মতাসীন দল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছেন, “আমরা একে অপরের সহযোগী; অগ্রগতি, শান্তি ও সমৃদ্ধির অংশীদার।”তার দেশ বাংলাদেশকে ‘বড়ভাই সুলভ’ দৃষ্টিতে দেখে না।শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতীয় জনতা পার্টির এই মুখপাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও প্রশংসা করে রাম মাধব বলেন, “তিনি যেভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সুরা করেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার।”গত বছরের শুরুর দিকে বিএনপির রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকে ইঙ্গিত করে ভারতীয় এই নেতা ‘গণতন্ত্রের নামে ধর্মঘট ও সহিংসতার’ সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান গণতন্ত্রের মাধ্যমেই সম্ভব।”
ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘ভারত-বাংলাদেশ সংলাপে’ বলছিলেন মাধব, যিনি বিজেপি ঘরানার গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের একজন পরিচালক।গতবছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের আগে সর্বশেষ ভারত-বাংলাদেশ সংলাপের আয়োজন করা হয়েছিল। মোদির ওই সফর শেষে যৌথ ঘোষণায় এসেছিল দুই দেশের সম্পর্কে নতুন সূচনার প্রতিশ্রুতি।মাধব বলেন, সেই ঘোষণাকে এগিয়ে নিতেই তার ঢাকায় আসা।

ভারতের সাবেক কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও অধিকার কর্মীদের একটি দল এই সফরে মাধ্যমে সঙ্গে এসেছে।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা দুই দেশের সম্পর্ককে ‘নতুন উচ্চতায়’ নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।

প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, “এটা দেখিয়েছে- যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে তাহলে যে কোনো কিছুই সম্ভব।”

দ্বিপীয় সম্পর্কের প্রায় সব েেত্রই আলোচনা শুরু হলেও পানি বণ্টন ইস্যুটি দুই দেশের সম্পর্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে।
“বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে পানি খুব স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু,” মন্তব্য করে বিষয়টি ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ ভাবেই সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী।

দুই দেশকে ‘প্রকৃতিগতভাবে বন্ধু’ বলে অভিহিত করেন বিজেপি নেতা মাধব।

“ভৌগলিক অবস্থানই আমাদের এক করেছে, এই কারণে আমাদের কেউ আলাদা করতে পারে না। আমাদের ভাষা আমাদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করেছে। আমাদের ইতিহাস আমাদেরকে একসূত্রে গেঁথেছে, আমাদের সংস্কৃতি আমাদের যুক্ত করেছে।”

সুনির্দিষ্টভাবে বাণিজ্য ও বিদ্যুৎ েেত্রর কথা উল্লেখ করে এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘বাণিজ্যিক সম্পর্কের কোনো েেত্র বাংলাদেশের প্রতি যেন অবিচার না হয়’ সেজন্য ভারত বিষয়টি সব দিক থেকে নিশ্চিত করবে।

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার েেত্র ভারত বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

ক্রিকেটকে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের ‘অন্যতম মাধ্যম’ অভিহিত করে বিজেপি নেতা মাধব বলেন, “আসছে রোববারের খেলা আমরা উপভোগ করব। বাংলাদেশের সঙ্গে ফাইনাল খেলা আমাদের জন্য বড় আনন্দের বিষয়, অন্য প্রতিবেশীর সঙ্গেও যুদ্ধ নয়। আমরা এটা উপভোগ করব।

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা এই অঞ্চলের দুই বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও প্রশংসা করে মাধব বলেন, “তিনি যেভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সুরা করেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার।”

দুই দেশের সম্পর্ককে একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত করার অভিপ্রায় জানিয়ে মাধব বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান গণতন্ত্রের মাধ্যমেই সম্ভব।

“গণতন্ত্রের বিস্তৃতি স্বাধীনতা পর্যন্ত। আমাদের সেই স্বাধীনতাকেই লালন করতে হবে, সুরা দিতে হবে। স্বাধীনতা তখনই বাধাগ্রস্ত হয় যখন অন্য কেউ এর মধ্যে নাক গলায়।

তিনি বলেন, “দুই দেশের রয়েছে সুলিখিত সংবিধান; তার সুরা দিতে হবে। এটি আমাদের কোনোভাবেই সংবিধানকে ধ্বংস বা গণতন্ত্রকে ধ্বংসের সম্মতি দেয় না। এটি আমাদের বাস পোড়ানো, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস বা সহিংসতারও সম্মতি দেয় না।

সংলাপের সমাপনী দিন শনিবারে দুই দেশের প্রতিনিধিরা দ্বিপীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 6643205538217119149

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item