দুই মন্ত্রীর বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ২৭ মার্চ
https://www.obolokon24.com/2016/03/Bangladesh_20.html
ডেস্কঃ
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে শুনানি আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগে আজ দুই মন্ত্রীর হাজিরার দিন ধার্য ছিল। সে অনুযায়ী কামরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক সকালে সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হন।
শুনানিতে দুই মন্ত্রীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, যতই মতাবান হোন না কেন, এই আদালত যেকোনো আদেশ দিতে দ্বিধাবোধ করবেন না।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘এই আদালত সংবিধানের অঙ্গ, সরকারের অঙ্গ নয়। আমাদের মধ্যে একটা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকে। আপনি (দুই মন্ত্রী) শুধু দেশের প্রধান বিচারপতি নন, সারা বিচার বিভাগকে ছোট করেছেন।’
দেশের সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে কামরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হকের বক্তব্যে স্তম্ভিত হয়ে ৮ মার্চ আপিল বিভাগ তাঁদের তলব করেন। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কার্যক্রম শুরু করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন।
১৫ মার্চ দুই মন্ত্রীকে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে তাঁদের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ওই দিন মোজাম্মেল হক আদালতে উপস্থিত হলেও সরকারি কাজে বিদেশে থাকায় কামরুল ইসলাম ছিলেন না। ওই দিন তাঁদের আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেেিত আদালত শুনানি মুলতবি করে ২০ মার্চ পুনর্র্নিধারণ করেন।
দুই মন্ত্রী ইতিমধ্যে তাঁদের বক্তব্যের জন্য আদালতের কাছে নিঃশর্ত মা চেয়ে ব্যাখ্যা জমা দিয়েছেন।
৬ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির আদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিল মামলা পুনঃশুনানির দাবি জানান। ওই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন।