নীলফামারীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ঃ
যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্যে দিয়ে আজ শনিবার নীলফামারীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। দিবসের সূচনায় রাত ১২টা ১মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা স্মৃতি অ¤¬ানে পু®পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। রাস্ট্রের পক্ষে সর্বপ্রথম পুস্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন। এরপর পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাড মমতাজুল হক,পৌরসভা মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, আওয়ামী লীগ, জাতীয়পার্টি, বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পন করেন।
সুর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী বেসরকারী ভবন সমুহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় নীলফামারী স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন সংগঠনের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রজনীগন্ধা দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর সুখের পায়রা কবুতর ও স্বাধীনতার শ্লোগানের বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে দেয়া হয়। কুচকাওয়াজে শেষে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা  ডিসপে¬ প্রর্দশন করে। ওই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্রীড়ানুষ্ঠান। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রামান্য চলচিত্র প্রদর্শন, জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানা সহ ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ছাড়াও জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নীলফামারীর সকল মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।জেলা শহরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)এ,জে,এম এরশাদ আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাডঃ মমতাজুল হক, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী, জেলা কমান্ডার ফজলুল হক, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডঃ জোনাব আলী, সাবেক যুগ্ন সচিব আমিনুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্মানী হিসাবে ক্রেষ্ট ,চেক ও বস্ত্র বিতরণ এবং দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিকালে সরকারি মহিলা কলেজে মহিলা ও শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগীতা এবং বড় মাঠে প্রীতি ফুটবল,হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয় দিনের অন্যান্য কর্মসুচীতে। সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ,স্বাধীনতা ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশ করেন শিল্প একাডেমীর শিল্পবৃন্দ।
অপরদিকে জেলার ডোমার,ডিমলা,জলঢাকা,কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলায় অনুরূপ কর্মসুচী পালনের খবর পাওয়া গেছে। ডিমলায় দিবসটির সুচনায় পুস্পমাল্য অর্পন করেন নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান তবিবুর রহমান ,উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা রেজাউল করিম,মুক্তিযোদ্ধা,আওয়ামী লীগ বিএনপি,জাতীয় পাটি,বনিক সমিতি । অন্যান্য উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন স্তরের মানুষজন।

 ডোমারে সকাল ৯ টায় ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: সাবিহা সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নরুননবী, থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: মোয়াজ্জেম হোসেন। এরপর পুলিশ, আনছার-ভিডিবি, গ্রাম পুলিশ, স্কাউটস, গালস গাইডসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াচ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন শেষে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: সাবিহা সুলতানার সভাপতিত্বে এসময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরননবী, আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, সহকারী জেলা কমান্ডার সহিদার রহমান মানিক, উপজেলা সহকারী কমান্ডার ইলিয়াছ হোসেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জব্বার, মুক্তিযোদ্ধা জিএম রাজ্জাক, খালেকুজ্জামান নুর প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এরপর প্রতিজন মুক্তিযোদ্ধাকে ২শ’ টাকার প্রাইজবন্ড প্রদান ও দুপুরের আহার করানো হয়।বিকাল ৪ টায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও সন্ধ্যায় নাট্য সমিতি মঞ্চে অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে আলোচনাসভা করা হয়। এরপর মনোজ্ঞ সাংংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরন করা হয়।
ঠিক একই কর্মসুচির আওতায় জেলার ডিমলা,জলঢাকা,কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। সন্ধ্যার পর জেলা শহর সহ প্রতিটি উপজেলায় আলোকসজ্জা করা হয়।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8410882151468449792

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item