সৈয়দপুরে রেললাইনের পাশে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা, ট্রেন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিতে
https://www.obolokon24.com/2016/02/saidpur_57.html
মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে ঃ
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের পোস্ট অফিস মোড়ের ২ নম্বর রেলওয়ে ঘুমটি থেকে দেিণ বানিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় রেললাইনের উভয়পাশে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এতে করে উল্লেখিত এলাকায় ট্রেন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপ মাঝেমধ্যে রেললাইনের উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও কিছুদিন পর আবারও সেসব গড়ে উঠছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের (বিআর) আইন অনুযায়ী রেললাইনের উভয়পাশে ২০ ফুট এলাকা বিপজ্জনক ও সংরতি এলাকা। কিন্ত বাণিজ্যিক প্রধান সৈয়দপুর শহরের পোস্ট অফিস মোড়ের ২ নম্বর রেল ঘুমটি থেকে দেিণ বানিয়াপাড়া পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রেলওয়ে লাইনের উভয়পাশে একেবারে রেলওয়ে লাইন ঘেঁষে অসংখ্য কাঁচা-পাকা বিভিন্ন ধরণের অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে হোটেল-রেস্তোঁরা, বোর্ডিং, কামারশাল, স্বর্ণকারের দোকান, মাংস, তৈজসপত্রের দোকান, পুরাতন কাপড়ের দোকান, ট্রাঙ্ক ও বালতির কারখানা, কাগজের বাক্স তৈরির দোকান, টেইলার্স, জেনারেটর রুম, আসবাবপত্র তৈরির কারখানা প্রভৃতি।
রেললাইন ঘেঁষে উল্লিখিত দোকানপাট গড়ে উঠায় ক্রেতাসাধারণ মুলতঃ রেললাইন ব্যবহার করে এসে এসব দোকানগুলোতে কেনাকাটার কাজ করছে। শুধু তাই নয়, ওইসব দোকানে ব্যবহৃত পানিসহ সকল বর্জ্য সরাসরি রেললাইনে এনে ফেলছে দোকান মালিকরা। বিশেষ করে হোটেল-রেস্তোঁরা ও কামার দোকানের পানি প্রকাশ্যে এনে রেললাইনে ঢেলে দেয়া হচ্ছে। এতে করে রেললাইন মারাত্মকভাবে তিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও রেললাইনের উপর কিছু ভ্রাম্যমান ফেরিওয়ালা বসে প্রতিদিন। তারা লেললাইনের উপর বসে বেচাবিক্রির কাজ করছে। আর এতে করে সারাণ রেললাইনের উপর মানুষের সরব উপস্থিতি থাকছে। ফলে প্রায়ই ট্রেনে লোকজন কাটা পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, রেলওয়ে শহর সৈয়দপুর থেকে রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর রাজশাহী ও খুলনাগামী আন্ত:নগর ও লোকাল মিলে ৭টি ট্রেন ১৪ বার চলাচল করে। অপরদিকে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা এখানে অবস্থিত। আর তাই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মেরামতের জন্য রেলওয়ে র্যাক (ওয়াগন) ওই রেললাইন দিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নিয়ে আসা হয়। রেলাইনের উভয়পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠায় স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ওইসব অবৈধ স্থাপনার কারণে ট্রেন চালকরা সামনে ঠিকভাবে দেখতে পান না। এর ফলে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।