সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ডাক্তারের কর্মবিরতি মুমর্ষ রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত
https://www.obolokon24.com/2016/02/saidpur_16.html
মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে-
ডাক্তারের অবহেলায় সৈয়দপুরে এক প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আকতার হোসেন, (বি.এ) এর ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিবাদ করার জের ধরে ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করছেন। গত ১৫ ফেব্র“য়ারী সকালে স্থানীয় হাসপাতালে ওই মৃত্যের আত্মীয় স্বজনের লাঞ্চনার প্রতিবাদে ১৬ ফেব্র“য়ারী মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ওই কর্মবিরতি অব্যহত রয়েছে। এর ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মুমর্ষ রোগীরাও। এ ঘটনা নিয়ে থমথম অবস্থা বিরাজ করছে হাসপাতাল জুড়ে।
সূত্র জানায় ১৫ ফেব্র“য়ারী ভোরে সৈয়দপুর শহরের প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আকতার হোসেন (বি.এ), তার ভাই আশরাফ হোসেন (৬০) কে মুমর্ষ অবস্থায় নিয়ে জান স্থানীয় ১০০ শয্যা হাসপাতালে। সেখানে কর্মরত ডাঃ শহিদুর রহমান মিলন কে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ জানালেও কোন কর্নপাতই করা হয়নি। ফলে হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ার ১ ঘন্টা পর তিনি মৃত্যু বরণ করেন। ওই দিন ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হওয়ায় রোগীর আত্মীয় স্বজন ডাঃ শহিদুর রহমান মিলনের ওপর চড়াও হওয়ার প্রতিবাদে নীলফামারী জেলার সিভিল সার্জেনের নির্দেশ ছাড়াই ১৬ ফেব্র“য়ারী সকাল ১০টা থেকে অন্যায় ভাবে কর্মবিরতি করেন ওই হাসপাতালের ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয় অনেক মুমর্ষ রোগী।
রেখা নামের এক রোগী জানান, তার শারিরীক অসুস্থার কারণে ১০০ শয্যা হাসপাতালের ডাক্তার গাইনি কনসালটেন্ট সায়লা বানু শুকলা বেগমের চেম্বারের জান। কিন্তু তাকে একদিনও পাওয়া যায়নি। ডাঃ শুকলা বেগম সপ্তাহের ৪/৫ দিন সৈয়দপুরের বাহিরে মোটা অংকের বিনিময়ে রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন সরকারী হাসপাতালের চেম্বারই ওই ডাক্তার রোগীদের কাছ থেকে টাকা চেয়ে বসেন। টাকা না দিলে হাসপাতাল থেকে রোগীদের কোন ঔষধ পত্রই দেয়া হয়না বলে জানান তিনি।
জান্নাহ বিনতে লিয়াকত নামের অপর এক রোগী জানান বর্তমান সরকার জনসাধরনের সু-চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের বেড প্রতি বাৎসরিক ৫০ হাজার টাকার ঔষধ বরাদ্ধ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে বাৎসরিক ৫০ লাখ টাকার ঔষধ বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্তু রোগীরা কোন ঔষধই পাননা। ডাক্তার সহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা একটি সিন্ডিকেট করে সিংহ ভাগ ঔষধই বিক্রি করে দেন। ডাক্তারের অবহেলায় শুধু আশরাফ হোসেনই নয় এমন অনেক রোগী আছেন যারা শুধু ডাক্তারের অবহেলাতেই মৃত্যু বরণ করেছেন।
ডাক্তারের কর্মবিরতি নিয়ে কথা হয় নীলফামারী জেলার সিভিল সার্জেন আব্দুর রশিদের সাথে। তিনি বলেন ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর খবর তিনি জানতে পেয়েছেন। তবে ডাক্তাররা যে কর্মবিরতি করছেন তা তাকে জানানো হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।