তারাগঞ্জে তামাকের পরিবর্তে সরিষার চাষ কৃষকের মুখে হাসি

হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো অফিস :

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর (চাকলা) গ্রামের চাষীরা এবারে তামাকের পরিবর্তে সরিষার চাষ কৃষকের মুখে হাসির সম্ভাবনা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসের সহযোগীতায় কৃষকদেরকে সরিষার চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন। গত বছরের ন্যায় তামাক চাষে লোকসান হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে সরিষা চাষ করা যায়। স্বল্প সময়ের মধ্যে সরিষা তুলে একই জমিতে ধান চাষ করা যায়। জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায় সরিষা চাষে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন কুমার রায় এসব বিষয়ে প্রাথমিক ধারনা দেন ওই রহিমাপুর গ্রামের চাষিদের। সে কারনেই ওই এলাকার অনেক তামাক চাষি সরিষা চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বিঘা প্রতি বারি-১৫ জাতের সরিষা ৫২০-৫৪০ কেজি । তাই ওই এলাকার তামাক চাষীরা এবারে তাদের তামাকের ৬০ বিঘা জমিতে বারি-১৫ জাতের সরিষার চাষ করেছেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই এলাকার চাষী প্রদীপ রায় (৪৫) শ্যামল রায় (৩৮) বিজয় রায় (৫০) শিবপদ রায় (৫৬) , বাবলু সরকার (৪০) বলেন, “কৃষি অফিস যদি একটু সহযোগীতা করে তাহলে হামরা আগামীতে আরো বেশি করি সরিষা আবাদ করমো।”
ওই এলাকার শিক্ষক ধীমান কান্তি রায় বলেন, এবারে ৬০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে, আশা করি আগামীতে ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হবে।
ওই এলাকার বৃদ্ধা অনিল চন্দ্র বলেন, “এরকম সরিষা মুই জীবনেও দেখোং নাই, এ্যার আগোত কৃষি অফিসের লোকজনও হামার এত্তি তেমন আইসে নাই।”উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা উর্মি তাবাচ্ছুম বলেন, ওই সরিষার ব্লকে সরিষার দারুন ফলন হয়েছে, আমরা সবসময় কৃষকদের সবধরনের সহযোগীতা করবো।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কৃষকেরা বেশি বেশি করে তামাকের পরিবর্তে সরিষা চাষাবাদ করলে, আমরা কৃষি বান্ধব সরকারের সকল সুবিধা ওই এলাকার চাষিদের দোরগড়ায় পৌঁছে দিতে পারব।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 6889058025705106868

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item