গঙ্গাচড়ায় তিস্তার চরাঞ্চলে স্বপ্নের শিল্প শহর বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে
https://www.obolokon24.com/2016/02/rangpur_28.html
নির্মল রায় আকাশ, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ
রংপুরের অবহেলিত গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তার চরে গড়ে উঠছে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট ও কৃষি ভিত্তিক শিল্পশহর। যা চরাঞ্চলসহ উপজেলাবাসীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে। দুর্বিষহ জীবন থেকে উন্নত জীবনে প্রবেশের স্বপ্নে বিভোর চরাঞ্চলবাসী। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২ হাজার ৩’শ পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩ আগষ্ট আনন্দ এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এইচ চৌধুরীর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে শিল্প শহরটি গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে রেনেওয়া ইন কর্পোরেশন-আমেরিকা ও হেপ এ্যানার্জি-জার্মানী। শিল্প শহরটি গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের মটুকপুর, চিলাখাল ও বিনবিনা চরে। আনন্দ এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের তিস্তা চরের প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, একটি ২৫ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্লান্ট, মেইজ প্রোডাক্ট (ফিড মিল), উন্নত জাতের গরু ও ছাগলের খামার, দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, মৎস্য ও মুরগীর হ্যাচারী, স্টেভিয়া চাষ, নার্সারী, হিমাগারসহ ১২টি প্রকল্প নির্মাণের মাধ্যমে কৃষি ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলা। এর পাশাপাশি প্রস্তাবিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি, সাব পোস্ট অফিস, দাতব্য চিকিৎসালয়, ১ম শ্রেণি হইতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয় ও কলেজ স্থাপন, গ্রন্থাগার, মসজিদ, কবরস্থান, বিনোদন পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন প্রভৃতি স্থাপন। বাস্তবায়নে মোট জমির প্রয়োজন ৪৪০ একর। এই জমিতে সোলার পাওয়ার প্লান্ট ও কৃষিভিত্তিক শিল্প শহর বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিক পর্যায়ে চরাঞ্চলের ২ হাজার ৩’শ বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এজন্য ৬০ মিলিয়ন ইউএস ডলার চুক্তি হয়েছে। ফিড মিলের জন্য ৪০ কোটি টাকা এবং অটো রাইস মিলের জন্য ৪১ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এসবের বাস্তবায়নের হলে প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য ভিষণ ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশের অবহেলিততম এই জনপদের উন্নত জীবনে প্রবেশের পথ উন্মোচিত হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি আনসার ক্যাম্পের অফিস তৈরি হচ্ছে। কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।